সোশ্যাল নেটওয়ার্কের এ যুগে ভালোবাসার নিয়ম কানুনও নতুন করে গড়ে উঠছে। সম্পর্ক গড়া
ও সম্পর্ক ভাঙার মতো বিষয়গুলো এখন নতুন করে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে এক
প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।
১. চোখের আড়াল, মনের আড়ালঃ ব্রেকআপ হয়ে যাওয়ার পর আপনি কি আপনার সাবেক সঙ্গীর সব স্মৃতি ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলো থেকে সরিয়েছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে এখনই তা করে ফেলুন। অন্যথায় সমস্যা আপনার পিছু ছাড়বে না। পুরনো এসব স্মৃতির মধ্যে থাকতে পারে স্ট্যাটাস, ছবি, নোটস ও গিফট। এ ছাড়াও পরিষ্কার করতে হবে ফেসবুকের হিস্টোরিও। ২. ডেটিং পদ্ধতি ও বিলঃ প্রাচীন ডেটিং পদ্ধতিতে ছেলেরা মেয়েদের প্রস্তাব দেয় এবং ডেটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। আর হোটেল-রেস্টুরেন্টের বিলটাও ছেলেরা দেয়। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে। আজকাল অনেক মেয়েও ছেলেদের ডেটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। তবে সেক্ষেত্রে খাওয়ার বিলটাও আমন্ত্রণকারীর দেওয়াটাই শোভনীয়। ৩. আমার পথ ধর, নাহলে দূরে যাওঃ নিজের মতের সঙ্গে সঙ্গীর সবকিছু মিলবে, এমন আচরণ করা সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবাস্তব। দুজন ভিন্ন মানুষ একত্রে আসলে তাদের আলাদা অনেক কিছুই থাকবে। কিন্তু এসব বিষয় মেনে নিয়েই সম্পর্কে জড়াতে হবে। কিন্তু দেখা যায় শুধু দুজনের মতামতের ভিন্নতাই নয়, বন্ধু-বান্ধবদের চাপেও সঙ্গীদের সম্পর্কে টানাপোড়ন ও ফাটলের সৃষ্টি হয়। ৪. ভালোবাসার পরিসমাপ্তি হয় কি? আপনি কি ভালোবাসাকে চলমান একটি প্রক্রিয়া বলে মনে করেন? সারাজীবন একের পর এক সঙ্গী বদলাতে চান? নাকি মনের মতো একজন সঙ্গী খুঁজে পেলে তাকে নিয়েই জীবন গড়তে চান? বাস্তবে মানুষ ভালো কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশায় সঙ্গী বদল করে। কিন্তু এক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য কাউকে সঙ্গী না বানানোই ভালো। ৫. সততা সর্বোত্তম পন্থাঃ আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সময় ভালো কাটছে না? নানা বিষয়ে তার সঙ্গে মতভেদ হচ্ছে? এক্ষেত্রে সৎ থাকুন। তাকে বুঝিয়ে বলুন ব্যাপারটা, সমাধান নিয়েও আলোচনা করুন। অভদ্রতা করার তুলনায় এটা ভালো। |
Labels: বর্তমান যুগের ভালোবাসার ৫টি নিয়ম নীতি।
comment closed