সত্যিকারের প্রেমে পড়লে আপনার যে অনুভূতি গুলো হবে

অনেকেই বলেন ‘ভালোবাসার অনুভূতি কেমন, প্রেমে পড়ার অনুভূতি কি ধরণের’। আবার অনেকে বলেন, ‘প্রেমে পড়লেই কি ছেলেমানুষের মতো ব্যবহার করতে হবে’। কিন্তু আসলে জানা থাকে না যে প্রেমের পড়ার ফলে যে অনুভূতির সৃষ্টি হয় তা-ই ছেলেমানুষি কাজ করায়। সত্যিকার অর্থেই প্রেমে পড়ার ফলে মনের মধ্যে অন্য ধরণের অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আপনি হয়তো কখনোই জানতেন না আপনার মধ্যে এই ধরণের অনুভূতি রয়েছে যা প্রেমে পড়ার পর টের পাওয়া যায়। সত্যিকার অর্থেই যদি আপনি প্রেমে পড়ে থাকেন তাহলে নিজের মধ্যে অনুভব করতে পারবেন এই বিশেষ এবং নতুন অনুভূতিগুলো।

১) অনেক কিছু করে ফেলতে পারার অনুভূতি
সত্যিকারের প্রেমে পড়লে এক ধরণের দিগ্বিজয়ী অনুভূতির জন্ম নেয়। যেনো সেই প্রেমটিকে ঘিরে সব কিছু করে ফেলা সম্ভব, সব বাঁধা পার করা সম্ভব। আপনি হয়তো জানতেনই না আপনার মধ্যে এতো স্পৃহা লুকিয়ে আছে।

২) হারিয়ে ফেলার ভয়
প্রেমে পড়লে সঙ্গীকে নিয়ে যে নতুন অনুভূতির সৃষ্টি হয় তা হচ্ছে হারিয়ে ফেলার বয়। এই ভয়ের কারণেই উদ্ভট অনেক কিছু করে ফেলেন প্রেমিক প্রেমিকারা।

৩) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
আগে হয়তো কোনো কিছু নিয়েই চিন্তা লাগতো না, কিন্তু প্রেমে পড়ার পর মনের মানুষটির সাধারণ ফোন না ধরার বিষয়টি অনেক বেশি দুশ্চিন্তার জন্ম দেয়, অনুভব করা যায় অনেক বেশি উদ্বেগ।

৪) অনেক বেশি ঈর্ষান্বিত হয়ে যাওয়ার অনুভূতি
প্রেমে না পড়লে আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না আপনার মধ্যে কতোটা ঈর্ষা বা হিংসা লুকিয়ে রয়েছে। মনের মানুষটি অন্য কারো সাথে হেসে কথা বললেই যেনো এই লুকোনো অনুভূতিতে খোঁচা লেগে যায়।

৫) দ্বিধায় পড়ে যাওয়া
কি করলে ভালো হবে এই জিনিসটি নিয়ে ভাবা বা কোনো কিছু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি যে এতোটা কঠিন তা প্রেমে পড়ার আগে টের পাওয়া যায় না একেবারেই। অনেক বেশি দ্বিধার সৃষ্টি হয় মনে।

৬) অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক কষ্ট
ছোটোখাটো বিষয় যা অন্য কেউ করলে যা পাত্তা দেয়ারই কথা নয় সেই ছোটো বিষয়টি মনের মানুষটি করলে কি পরিমাণে কষ্ট পাওয়া যায় তা প্রেমে পড়লেই টের পাওয়া সম্ভব। কারণ প্রেম মনের মধ্যে জন্ম দেয় অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক কষ্টের অনুভূতি।

৭) অবহেলার ভয়
সব সময় মনের মধ্যে ভয়ের অনুভূতি পাওয়া যায় প্রেমে পড়লে। অনুভূতি একেবারে অমূলক নয়। কারণ মনে হতে থাকে কখন যেনো মনের মানুষটির কাছ থেকে অবহেলা পাওয়া হয়ে যায়।

৮) অতিরিক্ত কিন্তু সত্যিকারের আশা
প্রেম মনে মধ্যে একধরণের অতিরিক্ত আশার অনুভূতির জন্ম দেয়। আশাটি অতিরিক্ত কিন্তু মিথ্যে কিছু নয়। প্রেমে পড়লে মনের মানুষটির কাছে অতিরিক্ত আশা করাটা আপনাআপনিই এসে যায়।

অল্প বয়সেই সফলতা পেতে যে বিসয়গুলো জানা খুব জরুরী !

আমাদের দেশে একটি ভালো চাকরী খুঁজে পেতেই ৩০ বছর বয়স পার হয়ে যায়। সেখানে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ধনী হয়ে যাওয়া একটু অসাধ্য সাধনই বটে। অনেকের মতে বাবা/মামা/চাচার জোর না থাকলে একটি অসম্ভব একটি কাজ। কিন্তু আসলেই কিন্তু তা নয়। আমাদের অনেকের সমস্যা আমরা একসাথে একের অধিক দিকে ভাবতে পারি না।

এবং আমাদের মনের ভেতর কোনো কিছু একবার ঢুকে গেলে তার পেছনে ছুটে সময় পার করে দিই। এই কাজটি করা উচিত নয়। সব দিক বুঝে, নিজের জন্য ভালো বেশ কয়েকটি পথ খুলে নিলেই কিন্তু এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় খুব সহজে।

১) একদিক লক্ষ্য করে ছুটবেন না:
অনেকেই রয়েছেন যারা সরকারী চাকুরীর পেছনে হন্যে হয়ে ছুটতে থাকেন বা একদিক লক্ষ্য করে তা না পাওয়া পর্যন্ত তার পেছনে ছুটে চলেন। এই কাজটি করবেন না। একদিক লক্ষ্য করে ছুটতে যাবেন না। একটি স্থানে নিজেকে কিছুটা সেট করে নিয়ে নিজের স্বপ্নের পেছনে ছুটতে পারেন। অর্থাৎ কোনো একটি চাকুরীতে ঢুকে নিয়ে তবে সরকারী বা তার চাইতে বড় কোনো স্থানের চাকরী খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যান।

২) অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজুন:
শুধুমাত্র একটি চাকুরীর আশায় বসে থেকে ভাববেন না আপনি ধনী হয়ে যাবেন। চাকরির পাশাপাশি অন্য কিছু করুন। ছোটোখাটো কোনো ব্যবসা খোলার চেষ্টা করুন। নিজের উপার্জনের মাধ্যম বাড়িয়ে নিন ২৫ বছরের পর থেকেই।

৩) প্রতিটি অর্থের হিসেব রাখুন:
কোথায়, কখন, কি কারণে কতোটা অর্থ ব্যয় করছেন তার প্রত্যেকটির হিসাব রাখুন। বেহিসেবি অর্থ ব্যয় করে কখনোই ধনী হওয়া সম্ভব নয়। হয়তো মানুসগ আপনাকে কিপটে বলতে পারেন। কিন্তু তারপরও নিজের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে একটু টিটকারি হজম করে নিন।

৪) ধার বা লোণ না করার চেষ্টা করুন:
যদি প্রতি মাসেই আপনার ধার বা লোণ করে মাস পার করতে হয় তাহলে আপনি কখনোই নিজের উপার্জনের কিছুই রাখতে পারবেন না। মাস শেষে যদি কষ্টও হয় তাহলে একেবারে বিপদে না পড়লে ধার বা লোণ করার অভ্যাস গড়ে তুলবেন না। কারণ এটি এক ধরণের পিছুটানের মতোই কাজ করে।

৫) বুদ্ধি খাটিয়ে ইনভেস্ট করুন:
কোথায় কোন ব্যবসায় ইনভেস্ট করলে লভ্যাংশের কিছু অংশ আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে সে ব্যাপারে নিজেকে তৈরি করে নিন। নিজের বুদ্ধি এবং জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ইনভেস্ট করার চেষ্টা করুন। এবং এমন স্থানে করুন যাতে আপনাকে লসের মুখে পরতে না হয়।

৬) একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করুন:
২৫/৩০/৩৫/৪০ বছর এভাবে করে একটি একটি করে প্ল্যান করে তা পূরণের চেষ্টা করুন। যেমন ২৫ বছর বয়সে এতো বেতনের চাকুরী এবং সেখান থেকে এতো টাকা সঞ্চয়ের লক্ষ্য, ৩০ বছর বয়সে এতো বেতনের চাকুরী বা ব্যবসা শুরু এবং এতো টাকা সঞ্চয়ের লক্ষ্য এভাবে প্ল্যান করে তা পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যান।

৭) সঞ্চয় করুন যতোটা সম্ভব:
প্রতি মাসে যতোটা সম্ভব সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার যদি একটু হিসেব করে ব্যয় করে সঞ্চয়ের অভ্যাস থাকে তাহলে সেই সঞ্চয় ইনভেস্ট করে নিজেকে ধনী করার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন।

৮) অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার পেছনে অর্থ ব্যয় বন্ধ করুন:
অতিরিক্ত এবং অযথা জিনিস কেনার অভ্যাস দূর করে ফেলুন একেবারেই। অনেকেরই দামী মোবাইল বা অন্যান্য অনেক কিছুর শখ থাকে। কিন্তু সেটা পড়ে করলেও চলবে। এখন একটু কষ্ট করে এই অযথা জিনিসগুলো ত্যাগ করে দিলে তা আপনার ভবিষ্যতটাকেই উন্নত করবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.