ল্যাপটপে চার্জ ধরে রাখার ৬টি কৌশল!

আপনার হাতে একগাদা কাজ। অথচ,
হঠাৎ করে ল্যাপটপের ব্যাটারির
চার্জ ফুরিয়ে গেছে।
কাছাকাছি কোন পাওয়ার সকেটও
নেই, যেখান থেকে ল্যাপটপটি চার্জ
দিয়ে নিতে পারেন। ল্যাপটপ
ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের এ
ধরনের সমস্যায় হরহামেশাই পড়তে হয়।
দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ,
ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত করার কিছু
সহজ সমাধান রয়েছে। ল্যাপটপ
ব্যবহারকারীদের উচিত এ
বিষয়গুলোকে দৈনন্দিন
অভ্যাসে পরিণত করে নেয়া।
তা হলে আর অনাকাঙ্খিত বিড়ম্বনায়
পড়তে হবে না। নিচে সহজ ৬টি টিপস
দেয়া হলো ১.ডিসপ্লে: মোবাইলের
মতো ল্যাপটপ স্ক্রিনও বেশি পাওয়ার
ব্যবহার করে। সে কারণে স্ক্রিনের
ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা চোখের জন্য
সহনীয় মাত্রায়
যতোটা কমিয়ে ব্যবহার করা যায়,
ততোটাই ভালো। যদি আপনার
কিবোর্ডে ব্যাকলাইট থাকে,
তবে সেটিও সেটিংস থেকে বন্ধ
করে দিন। এতে ব্যাটারির আয়ু
দীর্ঘায়িত হবে। ২.এক্সটার্নাল
ডিভাইস: ল্যাপটপের
ইউএসবি পোর্টে যে কোন ধরনের
এক্সটার্নাল ডিভাইস চালু থাকলে,
তা আপনার ল্যাপটপ থেকে অনবরত
পাওয়ার টানতে থাকবে।
এক্সটার্নাল ডিভাইসটির কাজ শেষ
হয়ে গেলে, সেটি ইউএসবি পোর্ট
থেকে খুলে ফেলার অভ্যাসই শ্রেয়।
৩.ওভারহিটিং বা অতিরিক্ত গরম
হওয়া: ল্যাপটপ বেশি গরম হলে,
ভেতরের ফ্যানগুলো আরও দ্রুত ঘুরতে শুরু
করে। আর তা স্বাভাবিকভাবেই
বেশি ব্যাটারি খরচ করে।
সে কারণে একটি ল্যাপটপ কুলার
কিনে নিন। এতে আপনার
ল্যাপটপটি অতিরিক্ত গরম হবে না।
৪.হাইবারনেশনে রাখুন: ল্যাপটপ
স্ট্যান্ডবাই
মোডে না রেখে হাইবারনেশনে রা
এতে আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ
হয়ে যাবে ও ব্যাটারির চার্জ অনেক
বেশি সময় থাকবে।
হাইবারনেশনে ল্যাপটপ বন্ধ হলেও,
আপনি শেষ
যেভাবে কাজগুলো সংরক্ষণ
করছিলেন
বা যে উইন্ডোগুলো খুলেছিলেন,
ল্যাপটপটি চালু করলে ঠিক
সে অবস্থাতেই সেগুলো পাবেন।
৫.উইন্ডোজের পাওয়ার প্ল্যান:
ল্যাপটপে উইন্ডোজের সঙ্গে বিল্ট-ইন
পাওয়ার প্ল্যান সেটিংসও পাচ্ছেন।
তাই চিন্তার কিছু নেই। বিভিন্ন
অপশন; যেমন- ডিসপ্লে ব্রাইটনেস
বাড়ানো বা কমানো, কখন
ডিসপ্লে ডিম বা অনুজ্জ্বল
করতে এবং বন্ধ করতে চান, হার্ড-
ড্রাইভসমূহ ও ইউএসবি পাওয়ার বন্ধ
করতে চান, সেগুলো সংযোজিত
রয়েছে। ৬.ব্যাটারি কেস: এ
অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যাটারির সম্পূর্ণ
স্ট্যাটাস দেখায়। শুধু তাই নয়। কতোটুকু
ব্রাইটনেসে ব্যাটারি কতোক্ষণ
চলবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট
নির্দেশনা রয়েছে সেখানে।
ব্যাটারির বর্তমান কন্ডিশন কেমন,
তাও জানতে পারবেন। সিপিইউ ও
হার্ড-ড্রাইভ অতিরিক্ত গরম
হয়ে গেলেও, সেটা প্রদর্শন
করে ব্যাটারি কেস অ্যাপ্লিকেশন।

প্রথম ডেটিংয়েই সঙ্গিনীকে ইমপ্রেস করার দারুন কিছু কৌশল

সঙ্গিনী হিসেবে বিশেষ কাউকে খুঁজে বের করাটা খুব সহজ ব্যাপার না। আর খুঁজে পেয়েও অনেকে তাকে ধরে রাখতে পারেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা ঘটে প্রথম ডেটিংয়ের দিন। সঙ্গিনীকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে আপনি সবকিছু গুলিয়ে ফেলে এমন কাণ্ড করে বসলেন যে সম্পর্ক শুরুর আগেই শেষ। তাই একটু সময় নিয়ে ভাবুন কিভাবে তাকে মনের কথাগুলো বলবেন। নিজেকে কিভাবে সাবলীল, সুন্দর ও চটপটেভাবে উপস্থাপন করবেন। শুধু রোমান্টিক হলে চলবে না। রোমান্টিক পরিস্থিতি তৈরি করাটাই মুখ্য ব্যাপার। আগে পরিকল্পনা করুন। আপনার প্রেমিকা সাধারণভাবেই আপনার কাছ থেকে একটু বেশি মনোযোগ আশা করবেন। কারণ, তিনি কার ওপর ভবিষ্যতে নির্ভর করতে চলেছেন, সেটা না জেনে তো আর পা বাড়াবেন না। প্রথম ডেটিংয়েই প্রেমিকার মন জয় করতে নিচের পরিকল্পনাগুলো করতে পারেন:

১) পছন্দ-অপছন্দের তালিকা: প্রেয়সীর পছন্দ-অপছন্দের একটি তালিকা তৈরি করে নিতে পারেন। প্রথম ডেটিংয়ে গিয়ে নার্ভাস হয়ে পড়েন অনেকেই। কি করলে তাকে ইমপ্রেস করা যাবে, এ ভাবনাটাই বেশি নার্ভাস করে তোলে বেশির ভাগ পুরুষকে। পছন্দের তালিকাটা জানা থাকলে, সে কাজটা সহজ হয়ে যাবে। নিজেদের আরও ভালোভাবে জানতে কোন রেস্টুরেন্টে ক্যান্ডেল-লাইট ডিনারের পরিকল্পনা করতে পারেন।

২) রিকশায় চড়ে ঘুরে বেড়ানো: রিকশায় বা গাড়িতে চড়ে এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারেন। সঙ্গিনী যদি এ ধরনের অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন, তাহলে প্রথম ডেটিংয়েই তাকে ইমপ্রেস করা বেশ সহজ হয়ে যাবে।

৩) ইনডোর গেইম: নিজেদের মধ্যে গল্প জমিয়ে তুলতে ইনডোর গেইম একটি ভালো উপায়। লুডো, সাপ-মইয়ের খেলা, দাবাসহ আরও অনেক মজার মজার ইনডোর গেইম খেলার পরিকল্পনা করতে পারেন।

৪) ছবির অ্যালবাম: অতীতের সুখস্মৃতিতে হারিয়ে যেতে বাড়ির নতুন-পুরনো ছবির অ্যালবামগুলো যে শুধু কাজের তা নয়। ডেটিংয়ের জন্যও এটা দারুণ। এতে গল্পে গল্পে পরস্পরের পরিবার সম্পর্কেও জানা হয়ে যাবে। আর কথা বা প্রসঙ্গ খুঁজে পেতেও কষ্ট হবে না।

৫) লাইব্রেরি: যাদের বই পড়ার নেশা রয়েছে, তারাই বুঝবেন লাইব্রেরির প্রকৃত কদর। আপনার সঙ্গিনী যদি বই ভালোবাসেন, তাকে নিয়ে কোন সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে চলে যান। একটি বই দু’জন একসঙ্গে পড়তে পারেন। বই নির্বাচনেও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিন।

৬) বাগান পরিচর্যা: বাগান পরিচর্যায় কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। ফুল পছন্দ করেন না, এমন রমণীর সংখ্যা বিরল। বাগানের কাজে একসঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর ফলে আপনার প্রথম ডেটিংটি ফুলের মতোই সুবাসিত হয়ে উঠতে পারে।

৭) একসঙ্গে রান্না: প্রথম ডেটিংয়েই সঙ্গিনীকে ইমপ্রেস করতে একসঙ্গে রান্না করতে পারেন। সম্পর্কের শুরুটার ভিত্তিটাও এতে মজবুত হবে। সঙ্গিনীর পছন্দের খাবারটি তৈরি করতে পারেন। একসঙ্গে খেতে বসুন। গল্পের রসায়নটাও যে জমবে, তাতে সন্দেহ নেই।

এখন থেকে ইন্টারনেট ছাড়াই দেখা যাবে ইউটিউবের (বাফার ফ্রি) ভিডিও !

আমাদের দেশে ধীর গতির নেটওয়ার্কের কারনে ইউ টিউবের বাফারিং সমস্যায় পড়ে ভিডিও দেখতে গিয়ে বিরক্ত হননি এমন ইউজার মনে হয় একজনও নেই । আবার মোবাইল থেকে ডাউনলোড করার পদ্ধতিও এতদিন ঠিকভাবে পাওয়া যায়নি ।ব্যাবহারকারিদের সেসব সমস্যার সমাধান দিল ইউটিউব কতৃপক্ষ ।

এখন থেকে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও আপনার অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারবেন। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এর জন্য ব্যবহারকারীকে অবশ্যই ভিডিও দেখার জন্য ইউটিউবের সঙ্গে সিনক্রোনাইজ করতে হবে। তবে এ ফিচারটি এখন সীমিত কিছু অঞ্চলে পাওয়া যাবে।

ইউটিউবের প্রকৌশল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন হার্ডিং বলেন, ‘ভবিষ্যতে ইন্টারনেটও বহনযোগ্য হয়ে যাবে। আমাদের আশা, এই প্রক্রিয়ায় মানুষ ড্যাটা কানেকশন ছাড়াই বাফার ফ্রি ইউটিউব সেবা পাবে।’

জন হার্ডিং বলেন, ইন্টারনেট ছাড়াই ইউটিউবের ভিডিও দেখার কৌশলটি হলো, মোবাইল ড্যাটা বা ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে পছন্দের ভিডিওগুলো এক ক্লিকেই স্টোরেজ করে রাখতে হবে। তবে এই স্টোরেজ সিস্টেম মুল ডাউনলোড সিস্টেমের মত নয় , মাত্র এক ক্লিকেই সিনক্রোনাইজ হয়ে যাবে আপনার ডিভাইসের মেমরি কার্ডে ।পরে ইন্টারনেট না থাকলেও ইচ্ছে মতো তা ইউটিউব ফিচারে প্লেব্যাক করা যাবে। তবে ডাউনলোডকৃত ভিডিও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেখতে হবে না হলে ইনভ্যালিড হয়ে যাবে বলেও সতর্ক করেছে কতৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার ভারতের মুম্বাইয়ে এই সেবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। একই সময় ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনেও চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাবহারকারিরা কবে নাগাদ আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ফিচারের সুবিধা পাবে সে ব্যাপারে আপাতত কিছুই জানা যায়নি ।

তবে বাংলাদেশেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইউসি (UC) ব্রাউজার থেকে এই সুবিধা এখন পাওয়া যায়। এর জন্য ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে এই সুবিধা নিলে সাধারন ডাটা চার্জের বিড়ম্বনায় পড়তে হবেনা আপনাকে । বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ইউসি (UC) ব্রাউজারের ভেতর যে ইউটিউব সফট আছে সেখান থেকে ভিডিও দেখতে গেলেই নিচে ডাউনলোড অপশন আসবে । পছন্দমত ভিডিওটির নিচে ডাউনলোড অপশনটিতে ক্লিক করেই পরবর্তী সময়ে বিনা ইন্টারনেটে ভিডিও গুলো দেখতে তৈরি রাখুন নিজের একটি এলব্যাম ।

যেসব কারণে বারবার ভেঙে যাচ্ছে আপনার প্রেমের সম্পর্কটি

অনেকের ক্ষেত্রেই খুব অদ্ভুত একটি ব্যাপার ঘটে থাকে। আর তা হলো বারবার প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া। দেখা গেলো একটি ব্রেকআপের ধাক্কা সামলে উঠে নতুন একটি সম্পর্কে জড়াতে না জড়াতেই সেই সম্পর্কটিও ভেঙে যায় কিছুদিনের মধ্যেই। তখন মানসিক অবস্থা আরও করুণ হয়ে পড়ে। হতাশা আরও বেশি ঘিরে ধরে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, কেন আপনার সাথে এমনটি হচ্ছে? কেন বারবার ভেঙে যাচ্ছে আপনার স্বপ্ন?

১) সঠিকভাবে ভালোবাসা প্রকাশ না করতে পারা
আপনি যদি কাউকে অনেক বেশি ভালোবেসেই থাকেন, তবে দ্বিধা মনে না রেখে তা প্রকাশ করে দিন। আপনার সঙ্গীর কাছে আপনার ভালোবাসা প্রকাশে বাঁধা কোথায়? অনেকে মনে করেন সঙ্গী যদি বুঝে যায় আপনি তাকে অনেক ভালোবাসেন তবে তিনি আপনাকে অনেক কষ্ট দিতে পারবেন। এটি অনেকাংশে ভুল। যদি মানুষটি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে তার কাছে ভালোবাসা প্রকাশ করাটাই ভালো। নতুবা তিনি ভুল বুঝে আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে পারেন।


২) ইগো ধরে থাকা
আপনার যদি বারবার একইভাবে ব্রেকআপ হতে থাকে তাহলে অন্যের ভুল খুঁজতে না যেয়ে একটু দেখুন তো আপনার মধ্যে কোনো ভুল হচ্ছে কিনা। আপনাদের কোনো কারণে মনোমালিন্য হলে যদি আপনি ইগো ধরে বসে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার সঙ্গী সবসময় আপনার অভিমান ভাঙাতে আসবে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ইগোটাকে একটু দুরেই রাখতে হয়।

৩) মোহকে ভালোবাসা ধরে নেয়া
আপনি হয়তো মোহটাকে নিজের ভালোবাসা ধরে নিচ্ছেন। এবং যখন মোহটা কেটে যাচ্ছে তখনই হচ্ছে ব্রেকআপ। মনে রাখবেন মোহ কিন্তু ভালোবাসা নয়।

৪) নিজের ভালোবাসা প্রমাণের জন্য উঠেপড়ে লেগে যাওয়া
নিজের প্রতিটি কোথায় এবং কাজে প্রমান করার প্রয়োজন নেই যে আপনি তাকে ভালোবাসেন। এতে করে হয়তো আপনার সঙ্গীর মনে বিরূপ ধারণা হতে পারে। কারণ ভালোবাসা অনুভব করার বিষয়, প্রমান করার কোনো বিষয় না।

৫) অনেক ভেবে চিন্তে সম্পর্কে যাওয়া
আপনি যদি মনে করেন কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য থাকলেই আপনি সম্পর্কে যাবেন তা না হলে সম্পর্ক রাখবেন না তাহলে তা সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসা নয়। সেটি হবে শুধুমাত্র চুক্তি। হতে পারে একারণেই আপনার বারবার ব্রেকআপ হচ্ছে।

৬) নিজের একাকীত্ব পূরণের চেষ্টায় লেগে থাকা
ভালোবাসার অর্থ এই নয় যে আপনি তাকে দিয়ে নিজের মনের কিছু অংশ পূরণ করে নেবেন, এবং একাকীত্ব দূর করতে পারবেন। এই ধারণা যদি থেকে থাকে তাহলে তা পূরণ না হলে আপনা আপনি সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। কোনো শর্তের বিনিময়ে ভালোবাসলে তা ভালোবাসা নয়।


৭) নিজের অনুযায়ী সঙ্গীকে পরিবর্তন করে নেয়ার চেষ্টা
কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে তাকে পরিবর্তনের চেষ্টা করলেও কিন্তু আপনার ব্রেকআপ হতে পারে। কারণ যারা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ তারা আপনার পছন্দ অনুযায়ী নিজেকে পরিবর্তন না করে আপনার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করাটাই বেছে নেবেন।

৮) ভালোবাসার পেছনে ছুটতে থাকা
আপনি যদি ভালোবাসা পাওয়া জন্য অনেক বেশি চেষ্টা শুরু করে দেন তাহলে সঠিক মানুষটি খুঁজে না পাওয়া সম্ভাবনাই বেশি। এবং এই সময় আপনি অনেক বেশি মরিয়া হয়ে উঠেন বলেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে যখন বোঝা যায় এটি ভুল তখনই হয় ব্রেকআপ। তাই এতো বেশি মরিয়া হয়ে উঠবেন না যার কারণে পরে পস্তাতে হয়।

মাত্র ১ মিনিটেই মন ভালো করে ফেলার ৫ টি টিপস!

মাঝে মাঝে আমাদের জীবনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যখন মন খুব বেশি খারাপ থাকে। কিন্তু মন খারাপ করে রাখতে তো কেউই চায় না। সবাই চায় মনটাকে ফুরফুরে রাখতে। মন খারাপ হলে মন ভালো করার আছে বেশ কিছু সহজ উপায়। তাও আবার মাত্র ১ মিনিটেই ভালো করে ফেলতে পারবেন আপনার মন। অবাক হচ্ছেন? আসুন জেনে নেয়া যাক মাত্র ১ মিনিটেই মন ভালো করে ফেলার ৫ টি উপায়।

রঙিন পোশাক পরুন
অনেক সময় আমাদের মন এতো খারাপ থাকে যে আশেপাশের সব কিছুই বিরক্ত লাগে। খুব বেশি বিষন্ন হয়ে গেলে মন ভালোও হয় না সহজে। এক্ষেত্রে একটি কার্যকরী পদ্ধতি হলো রঙিন পোশাক পরা। আপনার পরনের পোশাকটি বদলে পছন্দের একটি রং চঙে পোশাক পরে নিন। আর এই কাজটি করতে ১ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু মন অনেকটাই ভালো হয়ে যাবে আপনার।

হাসুন
আপনার মন এতো খারাপ যে আপনার কাঁদতে ইচ্ছে করছে। কোনো ভাবেই ভালো করা যাচ্ছে না মনটা। এমন পরিস্থিতিতে হাসুন। ভাবছেন মন খারাপ থাকলে হাসবেন কিভাবে তাই না? মন খারাপ থাকলেও জোর করে হাসুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একা একা হাসুন আর নিজের হাসি দেখুন। মাত্র ১ মিনিট আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসলেই মনটা ভালো হয়ে যাবে অনেকটাই।

সুন্দর সুবাস নিন
মন খুব খারাপ থাকলে পছন্দের কোনো সুবাস নিন। সেটা হতে পারে আপনার প্রিয় পারফিউম অথবা প্রিয় কোনো ফুল। চা পাতার ঘ্রাণ নিলেও মন ভালো হয়ে যায় অনেকটাই। তাই মন খারাপ থাকলেই ১ মিনিট সুন্দর সুবাস নিন।

বড় করে দম নিন
মন খারাপ থাকলে বেশ বড় করে নিঃশ্বাস নিন। প্রথমে বড় করে নিঃশ্বাস নিয়ে মনে মনে ২০ গুনুন। এবার দম ছেড়ে দিন ধীরে ধীরে। ৫ সেকেন্ড বিরতি দিয়ে আবার একই ভাবে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে মনে মনে ২০ পর্যন্ত গুনুন এবং দম ছেড়ে দিন। এভাবে ১ মিনিট নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করলে মন ভালো হয়ে যাবে অনেকটাই।

জড়িয়ে ধরে চুমু খান
বেশ কিছু গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে মন খারাপ থাকলে প্রিয় মানুষদেরকে আলিঙ্গন করে চুমু খেলে মন ভালো হয়ে যায়। খুব বেশি মন খারাপ থাকলে আপনার মাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে পারেন। অথবা প্রিয় মানুষটিকে আলিঙ্গন করে চুমু খেলেও মন ভালো হয়ে যাবে মাত্র ১ মিনিটেই।

যে ৮ টি বিষয়ে ছেলেরা অকারণেই মেয়েদের দোষ দেন!

নারী-পুরুষের পরস্পরকে দোষারোপ করার বিষয়টি চিরন্তন। যতদিন নারী ও পুরুষের মাঝে ভাব ভালোবাসার ব্যাপারটি থাকবে, ততদিন কিন্তু এই দোষারোপ করার বিষয়টিও থাকবে। কিন্তু নারীর সবকিছুই কি খারাপ? একদম নয়। ভালোমন্দ মিলিয়েই মানুষ। পুরুষ যেমন, নারীও তাই। নারী যেমন অনেক কিছু নিয়ে অহেতুক পুরুষকে দোষারোপ করেন, পুরুষও কিন্তু কিছু ব্যাপারে অহেতুকই নারীকে দোষ দেন। একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে বিষয়টা আসলে দোষের নয় কিংবা নারীর একলার দোষ নেই। চলুন, জেনে যাক এমন ৮ টি বিষয়।

১) সব নারী ছলনাময়ী
এটা পুরুষের একটা সাধারণ দোষারোপ, যেটা সবাই-ই কখনো না কখনো দিয়ে থাকেন আর তারা নিজেরাও জানেন যে কথাটি সত্যি নয় মোটেও। ভালো মন্দ মিশিয়েই মানুষ। পৃথিবীর সব নারী ছলনাময়ে হলে নিজের মা-বোন-কন্যাও যে ছলনাময়ী কাতারে ভিড়ে যায়, এটা বলার সময় অনেক পুরুষই বোঝেন না।

২) নারী ঝগড়াটে
সত্যি কি তাই? পুরুষেরা কি ঝগড়া-বিবাদ-মারামারি করেন না? পৃথিবী জুড়ে যত সহিংসতা চলছে, তাঁর সিংহভাগই কিন্তু করছেন পুরুষ। তাহলে কেন ঝগড়াটে হিসাবে নারীর একলার দোষ?

৩) নারীরা সাজতে বেশি সময় নেন
এই সময়টা কি নারীরা নিজের জন্য নেন? অধিকাংশ নারীই একারণে সুন্দর করে সাজেন যেন স্বামী বা প্রেমিক তাঁর প্রশংসা করেন। নারীর সাজ পুরুষকেই মুগ্ধ করে, আবার নিজের স্ত্রী/প্রেমিকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ না হলে পুরুষ অন্য দিকে তাকাতেও দ্বিধা করেন না। তাহলে সাজতে সময় নেয়া নিয়ে এত আপত্তি কেন?

৪) খবরদারি করা
নারীকে প্রকৃতি তৈরি করেছে এমনভাবে যেন সংসার, সন্তান ইত্যাদি সবকিছু সামলে রাখতে পারেন। লক্ষ্য করলেই দেখবেন, পুরুষের চাইতে নারীর ক্ষমতা অনেক বেশি সবদিক সামলে রাখায়। আর একটু খবরদারি করতে না জানলে কি সেটা সম্ভব? নারী যখন খবরদারি করেন বা প্রশ্ন করেন, সেটার অর্থ তিনি আপনার পরোয়া করছেন। এটা মোটেও খারাপ কিছু নয়।

৫) পরনির্ভরশীল হওয়া
আসলেই কি তাই? পৃথিবীর সকল নারীই কি পরনির্ভরশীল? পৃথিবী জুড়ে স্বাবলম্বী নারীর এখন কোন অভাব নেই, তবু নারীদের শুনতে হয় যে তারা পুরুষের ওপরে নির্ভরশীল। তাছাড়া এমন পুরুষের সংখ্যাও কিন্তু কম নয় যে যারা স্ত্রীর উপার্জনে চলেন বা যাদের স্ত্রীর উপার্জন তাঁর চাইতে বেশি। তাই পরনির্ভরশীলতা এখন আর নারীর দোষ নয়।

৬) যৌনতায় আগ্রহ নেই
নারীদের সম্পর্কে আরেকটা ভুল ধারণা হলো এটি। যৌনতায় আগ্রহ কেন থাকবে না? একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মত যে কোন নারী যৌনতায় আগ্রহী কোন পুরুষের মতই। শুধু নারীর প্রকাশভঙ্গিটা পুরুষের চাইতে ভিন্ন। এই ব্যাপারটাকে নিশ্চয়ই দোষের কাতারে ফেলা যায় না?

৭) মেয়েরা টাকা খরচ করতে ভালোবাসেন
মানুষ মাত্রই কমবেশি টাকা খরচ করেন। পুরুষ কি টাকা খরচ করেন না? এটা খুবই স্বাভাবিক যে নারীর কাছে যেটা জরুরী, সেটা পুরুষের কাছে নয়। আবার পুরুষের কাছে যেটা জরুরী, সেটা নারীর কাছে বাজে খরচ। তাই টাকা খরচ নিয়ে এক চেটিয়া দোষারোপ করা অনুচিত।

৮) সন্দেহ করা
এটাই নারীদের সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা। এবং মজার বিষয়টা হচ্ছে নারীদের চাইতে অনেক বেশি সন্দেহ পুরুষ করে থাকেন। নিজের স্বামী বা প্রেমিক অন্য নারীর সাথে সম্পর্কে জড়াল কিনা, এটা নিয়ে একজন নারী যত চিন্তায় থাকেন; তাঁর চাইতে পুরুষ অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করেন তাঁর স্ত্রী বা প্রেমিকার অন্য সম্পর্ক নিয়ে।

আপনার ভালোবাসার ভবিষ্যৎ!

“প্রেম করলেই যে বিয়ে করতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই।” –এটা আমার কথা নয়। আজকালকার অনেককেই এই ধরনের কথা বলতে শুনা যায়। তারা বিভিন্ন ভাবে স্বপ্ন দেখিয়ে, মিথ্যা কথা বলে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। পরবর্তীতে যখন তাদের স্বার্থ পূরণ হয়ে যায় তখন তারা তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি যেমন–

তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না, তোমাকে ছাড়া অন্য কোনো মেয়েকে আমার জীবনে কল্পনা করতে পারি না – এ ধরনের কথাগুলো নির্লজ্জের মতো ভুলে যায়। কিন্তু যাকে ভুলে যায় সে মানুষটির তখন আর কিছু করার থাকে। সর্বস্ব খুইয়ে তখন সে দিশেহারা।

তবে দিশেহারা হওয়ার আগে আপনার প্রেমিকের মধ্যে কিছু বিষয় যাচাই করে আপনি সব খোয়ানোর আগেই জেনে নিতে পারেন আপনার ভালোবাসার ভবিষ্যৎ কোন দিকে যেতে পারে।

নিজের দোষ অন্যেও ঘাড়ে চাপানোঃ

আপনার সাথে সম্পর্কে জড়ানোর সময় যে ছেলে আপনাকে বুঝাতে চাইবে যে তার আগের সবগুলো সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রেমিকাই দোষী ছিলো কিংবা খারাপ ছিলো, তাদের থেকে সাবধান থাকাই ভালো। কারণ এই ধরনের ছেলেকে বিশ্বাস করাটা আপনার জন্য বোকামি ছাড়া আর কিছুই হবে না।

মনে রাখবেন সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আপনার এই প্রেমিকই তার ভবিষ্যত প্রেমিকার কাছে আপনার নামে বদনাম করবে ও নিজের ভুল স্বীকার করে না।এধরনের পুরুষরা সাধারণ ভালোবাসার ক্ষেত্রে সৎ হয় না এবং বিয়ে
করে নিজেকে কোন দায়িত্বের সম্পর্কে জড়াতে চায় না।

শারীরিক সম্পর্কে বেশি আগ্রহীঃ

প্রেমের ক্ষেত্রে যারা শারীরিক সম্পর্ক ব্যাপারে বেশি আগ্রহী থাকে, নির্জন স্থানে অথবা খালি বাসায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন কমপক্ষে ১০০ হাত। এ ধরণের ছেলেরা বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহী থাকে কারণ তারা বিয়ের জন্য অপেক্ষা করতে চায় না। এরা প্রেমিকার সসাথে কিছুদিন সময় কাটিয়ে সুযোগ বুঝে সটকে পড়ে। অনেক সময়ে এধরণের পুরুষরা বেশ বড় ধরনের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আচরণ পরিবর্তনঃ

একটু খেয়াল করে দেখুনতো আপনার প্রেমিক এক রাতেই ১৫বার ফোন দিয়ে পরের রাতেই উধাও হচ্ছে কিনা! কিংবা এক দিন এক ঘন্টা গল্প করে আবার কয়েক দিন কোনো খবরই নেই! এরকম হলে সম্পর্কটি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাবধান হয়ে যান এখনই।

কারণ এই ধরনের পুরুষরা সাধারনত বিয়ের মত এতো বড় দায়িত্ব নিজের কাঁধে চাপাতে চায় না। সম্পর্কের একটু গা ছাড়া প্রকৃতির এই পুরুষরা বেশ আগ্রহ নিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেও সেই সম্পর্ককে বিয়ের পরিণতি দিতে চায় না সহজে।

লুকোচুরি করাঃ

যে ধরনের প্রেমিকরা সম্পর্ক প্রকাশ করতে লুকোচুরি করে আবার হঠাৎ চলার পথে কোন বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেলে সে আপনার হাত ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে গেলে, কিংবা ফেসবুক থেকে আপনার সাথে ট্যাগ হয়ে যাওয়া ছবি কারণ ছাড়াই আনট্যাগ করে দিলে আপনি আগেই সাবধান হয়ে যান।

কারণ এসব ছেলেরা সাধারনত বিয়ে করতে চায় না। প্রিয় বন্ধুরা একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৎ থাকার ইচ্ছা থাকলে আপনার প্রেমিক আপনাকে তার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করবে এবং আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে বন্ধু মহলে কখনই লুকোচুরি করবে না।

সুন্দরী নারীরা কোন ধরনের পুরুষ পছন্দ করে?

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেকেই মনে
করেন নারীরা কেবল সুন্দর, সুদর্শন, লম্বা,
বিশাল অবয়বের দে এবং কাড়ি কাড়ি টাকা
আছে এমন পুরুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে
পছন্দ করেন।
কিন্তু বর্তমান যুগের নারীরা জীবনসঙ্গী হিসেবে
পুরুষের শারীরিক সৌন্দর্যের চাইতে পুরুষের
গুনাবলীকে প্রাধান্য দেন বেশি। হাসিখুশি
ও প্রাণখোলা মানুষকে সবাই পছন্দ করেন।

আর যদি হয় জীবনসঙ্গী তাহলেতো কথাই
নেই। জীবনসঙ্গী হিসেবে হাসিখুশি পুরুষকে
নারীরা আশা করেন।এছাড়া যত্নশীল এবং
দায়িত্বশীল পুরুষ নারীর কাম্য। সৃজনশীল
কাজের সঙ্গে যুক্ত এমন পুরুষও নারীর পছন্দের
তালিকায় এগিয়ে।

কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন, গীটার বাজাতে
পারেন, গান গাইতে পারেন অর্থাৎ গতানুগতিক
কাজের বাইরে সৃজনশীল কাজ করতে পারেন
এমন পুরুষকে নারীরা পছন্দ করেন।

সামাজিক যেকোন অনুষ্ঠানে যোগদানে আগ্রহী
এবং সুন্দরভাবে গুছিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলতে
পারেন, কথোপকথনে কোনো জড়তা নেই। এমন
বাচনভঙ্গির পুরুষ নারীর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।

আমাদের দেশের অধিকাংশ নারী বাড়ির বাইরে
নিরাপত্তাহীনতা ভোগে। নারীকে এমন অজানা
আশঙ্কা থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে এবং সব
সময় নিরাপদে রাখতে পারবে,আত্মবিশ্বাসের
সঙ্গে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবে
এমন সাহসী পুরুষকে নারীরা জীবনসঙ্গী হিসেবে
চায়।

বন্ধু-বান্ধবীহীন পুরুষকে নারীরা মোটেও পছন্দ
করেন না। যে পুরুষ নিজের বন্ধুদের সঙ্গে প্রানোচ্ছল
ভাবে মিশতে পারে এবং জীবনসঙ্গীর বন্ধুদের সঙ্গে
মিশতে কার্পণ্য করেন না। গম্ভীর পুরুষকে নারীরা
জীবন সঙ্গী হিসেবে পেতে চান।

অস্থির প্রকৃতির পুরুষের সঙ্গে ক্ষণিকের সম্পর্ক
করলেও জীবনসঙ্গী হিসেবে কখনোই চান না
এমন পুরুষকে।

মেয়েদের মন পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একটি ছেলে একটি মেয়েকে অনেক ভালবাসলেও, মেয়েটি কিন্তু সেই ছেলেটিকে সেভাবে ভালবাসেনা। কারন সেই ছেলে মেয়েটির মন জয় করতে পারেনা।

১. ভালবাসার প্রথম শর্ত হল ভালোবাসার মানুষের কাছে কোন কিছু গোপন রাখা যাবেনা। সব সময় তার কাছে সৎ থাকার চেষ্টা করুন।

২. প্রত্যেকটি মানুষেরই ভালো মন্দ দুটি দিক থাকে। আপনার ভালোবাসার মানুষটিরও সেরকম কিছু দূর্বলতার দিক থাকতে পারে। সেই কথা বলে কখনোই তাকে রাগান যাবেনা।

৩. আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পুরুষদের পছন্দ করে। প্রিয়মানুষের মানসিক ও শারীরিক চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

৪. নিজের অর্থসম্পদের চেয়ে তাকে বেশি ভালবাসতে হবে। প্রত্যেক নারী তার প্রিয়জনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ভালবাসা পেতে চায়। নারী চায় তার প্রিয়মানুষ তার
প্রতি যত্মবান হোক। সবকিছুর উর্ধ্বে তাকে দেখুক।

৫. মেয়েরা হাস্য-রস পছন্দ করে। যেসব ছেলেরা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসি তামাশা করতে পারে, মেয়েরা ঐসব ছেলেদের পছন্দ করে।

৬. মেয়েরা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও ফিটফাট থাকতে পছন্দ করে। মেয়েরা চায় তার ভালোবাসার মানুষটি সব সময় ফিটফাট থাকুক।

৭. প্রিয়তমাকে প্রশ্ন করার সুযোগ করে দিতে হবে। সে কি জানতে চায় সেদিকে থেয়াল রাখুন।

৮. নিজের পরিবারের সম্পর্কে তার সামনে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এতে মেয়েরা নিজেদের অনেকটা নিরাপদ মনে করে।

৯. ফেলে আসা জীবনে যেসব মেয়েদের সঙ্গে আপনার প্রেম ছিল। সেসব গল্প কখনোই প্রিয়তমাকে বলবেন না। যদি সে কখনো জানতে চায় তবেই বলা যেতে পারে। তবে বেশী না।

১০. মেয়েরা কথার ছলে গল্প বলতে ভালোবাসে। আপনার প্রিয় মানুষটির গাল-গল্পে বিরক্ত হবেন না যেন। তাহলে সে আপনার উপরে চটে যাবে।

১১. প্রিয়তমার সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে আবেগ প্রকাশ করে কথা বলুন। এতে মেয়েরা খুশি হয়।

১২. আপনার মনে অনেক কষ্ট থাকতেই পারে। প্রিয় নারীকে কখনো আপনার দুঃখ-কষ্ট বুঝতে দেবেন না। তার সামনে সব সময় হাসি খুশি থাকুন।

১৩. যখনি সময় পান প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকুন। শত কাজের মাঝেও তাকে সময় দিতে চেষ্টা করুন।

১৪. প্রিয়মানুষটির পছন্দ-অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন। তার ভালো লাগা, খারাপ লাগার বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।

১৫. আপনার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে কখনো অন্যকোন নারীর তুলনা করবেন না। নারীরা সাধারণত তার সাথে অন্য কোন নারীর তুলনা পছন্দ করেনা।

১৬. অনেকেই মনে করেন ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বন্ধত্ব করা যায় না। এই কথাটি একদমই ভুল। ভালোবাসার মানুষের সাথে আগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী করুন, তারপর প্রেম করুন।

১৭. আপনার ভালোবাসার মানুষের মতামতকে সব সময় সম্মান দেখাতে চেষ্টা করুন। তার নিজস্ব চিন্তা-চেতনাকে সম্মান করুন।

১৮. ভালোবাসার মানুষের দেহের মোহে না পরে তার মনের প্রতি গুরুত্ব দিন। তার শরীরকে নয়, তার মনটাকে ভালবাসতে চেষ্টা করুন।

১৯. প্রকৃতিগত ভাবেই নারীরা কোমল হয়। তাই ভালোবাসার নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় কখনো কঠোর হবেন না। যথা সম্ভব কোমল সুরে নারীর সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করুন।

২০. মেয়েরা সাধারণত খুব আবেগ প্রবণ হয়। তাই তারা সব সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে ভালোবাসে। তাই আপনার প্রিয়মানুষটির পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখুন। খোঁজ খবর নিন। 

না বুঝে করা যে ভুল গুলো কেড়ে নিবে আপনার প্রিয় মনের মানুষটিকে!

দাম্পত্য ও ভালোবাসার সম্পর্কে যে সকল ব্যাপারে আমরা অবগত সেগুলো এড়িয়ে চলে সম্পর্ক ঠিক রাখতে পারি। কিন্তু যে ভুলগুলো নিজেরা জানি না এবং না বুঝেই আমরা বলে থাকি সে ভুল গুলোই মূলত সম্পর্কের জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই যতোটা সম্ভব নিজের এই অজানা ভুলগুলো বুঝে নেয়ার চেষ্টা করা উচিৎ আমাদের।

ঈর্ষান্বিত হওয়াকে ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম মনে করাঃ

অনেকেই মনে করেন একটু ঈর্ষা করা বা ঈর্ষান্বিত হওয়া ভালোবাসার লক্ষণ। এতে সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ হয় তা সম্পূর্ণ ভুল। ঈর্ষা করা কখনোই ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হতে পারে না।

অতিরিক্ত ভালোবাসা প্রদর্শন করাঃ

আপনি যদি অতিরিক্ত ভালোবাসা প্রদর্শন করেন, খরবদারি করতে থাকেন তবে দুজনের কাছেই তা একসময় বোঝার মতো মনে হতে থাকবে।

না বুঝে হুট করেই কটু কিন্তু সত্য কথা বলে দেয়াঃ

আপনি সোজা ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন। নিঃসন্দেহে এটি অনেক ভালো গুণ। আর ভালোবাসায় সত্য বলাটাও খুব জরুরী। কিন্তু সব সময় নয়! ভালোবাসার সম্পর্কে কিছুটা হলেও অভিনয় শিখে নিতে হয়। কারণ সব সময় আপনি হুটহাট সত্য কথা বলে দিতে পারবেন না। আপনাকে বুঝিয়ে কথা বলতে হবে অথবা কিছুটা ঘুরিয়ে সত্য উপস্থাপন করতে হবে।

ছোটোখাটো ব্যাপারও ধরে বসে থাকাঃ

ইগো অনেক বড় একটি সমস্যা সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে দেয়ার জন্য। আপনি যদি ছোটোখাটো ব্যাপার নিয়ে ধরে বসে থাকেন তাহলে সম্পর্ক হুমকির মুখে অবশ্যই পড়ে যাবে। হয়তো আপনার এই ছোটো বিষয় ধরা এখন আপনার সঙ্গী মনোকষ্টে মেনে নিচ্ছেন। কিন্তু কিছুদিন পরেও যে তিনি মেনে নেবেন এমন কিছু না। তাই এই অভ্যাসটি বাদ দিন।

প্রতিজ্ঞা করে তা পূরণ করতে না পারাঃ

অনেকেই এই ভুল কাজটি করেন। কোনো কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর কাজটি ঠিকমতো করতে পারেন না অনেকেই। অনেক সমস্যার কারণে হয়তো করতে পারলেন না। কিন্তু যদি আপনার নিজের মনে দ্বিধা থাকে তবে প্রতিজ্ঞা করা থেকে বিরত থাকুন দয়া করে। কারণ একই ঘটনা বারবার ঘটতে থাকলে আপনার প্রতি সঙ্গীর বিশ্বাস ভাঙতে থাকবে।

ভালোবাসার খাতিরে যে সম্পর্ক গুলো কখনো বিসর্জন দেওয়া ঠিক নয়।

অনেককেই দেখা যায় নিজের ভালোবাসার সম্পর্কটি ধরে রাখার জন্য অনেক কিছু করে ফেলেন। নিজের এমন কিছু বিষয়কে বিসর্জন দিয়ে ফেলেন যার পর আসলে নিজস্বতা বলতে কিছুই অবশিষ্ট থাকেন না।

পুরোপুরি অন্য একজনের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল থাকার সম্পর্ক আসলে ভালোবাসার সম্পর্ক নয়। কিছু জিনিস তো অবশ্যই ছাড় দিতে হয়। দুজনের সমঝোতাতেই সম্পর্ক টিকে থাকে। কিন্তু নিজস্ব কিছু জিনিস কখনোই বিসর্জন দিতে হয় না। এই বিসর্জনগুলো যদি সঙ্গী চেয়ে বসেন, তবে বুঝবেন আপনার সম্পর্কটি কখনোই সফলতা পাবে না।
এবং এই বিসর্জন দেয়ার চাইতে সম্পর্কটি ছেড়ে দেয়াই ভালো। যদিও ভালোবাসাকে মজবুত বন্ধন হিসেবেই ধরা হয়। কিন্তু কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে ভালোবাসার সম্পর্ক অনেক নাজুক একটি বিষয়, ঠিক যেমনটা হয় কাঁচ। হালকা আঘাতেই কাঁচের মতো সম্পর্কটিও ভেঙে যেতে পারে। যেমন, বিশ্বাস। ভালোবাসার সম্পর্কে বিশ্বাস থাকতেই হয়, এটি ভালোবাসার ভিত্তি। কিন্তু যদি কোনো কারণে একবার এই বিশ্বাস ভেঙে যায় তবে তা পুনরায় স্থাপন করা সম্ভব হয়ে উঠে না। অনেকে মনে করেন ভালোবাসার সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য যা যা করা লাগে তাই করা উচিৎ। হোক সেটি ন্যায় সঙ্গত অথবা অন্যায়।

নিজের স্বাধীনতাঃ

যিনি আপনাকে ভালোবাসেন তিনি যখন আপনার জীবনে আসবেন তখন সাধারণ ভাবেই কিছুটা স্বাধীনতা দুপক্ষ থেকেই কমে যাবে। কিন্তু যখন পুরোপুরি আপনি তার নিয়ন্ত্রণে চলে যাবেন। এবং যখন দেখবেন আপনি ঘরের বাইরে বেরুবেন কিনা, আপনি চাকরী করবেন নাকি বাসায় বসে থাকবেন, আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যাবেন কিনা তাও আপনার সঙ্গী নির্ধারণ করতে চাইবেন রখন সে সম্পর্কটি ধরে রাখার কোনো অর্থ নেই। নিজেকে পরাধীন করে একটি সুসম্পর্ক স্থাপন করা যায় না কখনোই।

নিজের সত্ত্বাঃ

আপনি যা চিন্তা করেন, যেভাবে কথা বলেন, যেভাবে চলেন, যেভাবে গড়ে উঠেছেন এই সবই আপনার নিজস্বতা, আপনার সত্ত্বা। এইসকল জিনিসে পরিবর্তনের অর্থ আপনার স্বত্বাকে পরিবর্তন। হ্যাঁ, কিছুটা ভালো পরিবর্তন অবশ্যই একটি সম্পর্কে জড়ানোর পর আসে সকলের মনে কিন্তু তা জোর করে কখনোই সম্ভব নয়। আপনার সঙ্গী আপনার পোশাক পড়ার ঢঙের সাথে সাথে যদি আপনার চিন্তা ভাবনা ও মানসিকতারও পরিবর্তন চান, বিসর্জন দিতে বলেন আপনার স্বত্বাকে তবে এই সম্পর্ক যেতে দেয়াই উচিৎ।

মনের খুশিঃ

একজন মানুষ কি কারণে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান? অবশ্যই নিজের মানসিক সাপোর্ট, কিছুটা মানসিক শান্তি এবং খুশির জন্য। কিন্তু আপনি আপনার এই ভালোবাসার সম্পর্কটি ধরে রাখার জন্য যদি নিজের মনের খুশিই বিসর্জন দিয়ে ফেলেন তবে কি এই সম্পর্ক আপনি টিকিয়ে রাখতে পারবেন? কিছুতেই না। নিজের মনের খুশি বিসর্জন দিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক ধরে রাখা সম্ভব নয়।

স্বপ্ন ও জীবনের লক্ষ্যঃ

একজন মানুষ বেঁচে থাকেন তার স্বপ্ন নিয়ে। পথ চলেন নিজের জীবনের লক্ষ্য সামনে রেখে। এই দুটি জিনিস মানুষের জীবনে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব রাখে। কিন্তু আপনি নিজের ভালোবাসার সম্পর্কটি ধরে রাখার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি জিনিস ছেড়ে দিয়ে থাকেন তাহলে সে সম্পর্কে আপনি নিজেই সুখি হতে পারবেন না। তখন সেই সম্পর্কটিও আপনার কাছে বোঝা মনে হবে। তাই সঙ্গীর সাথে সমঝোতা করুন, বিসর্জন দেবেন না নিজের স্বপ্ন।

নিজের অন্যান্য সম্পর্কঃ

অনেক সময় নিজের ভালোবাসার সম্পর্কটি ধরে রাখার জন্য বিসর্জন দিতে হয় নিজের কিছু সম্পর্ককে। অনেকেই নিজের পরিবার ও অভিভাবকের বিরুদ্ধে চলে যান এবং ভালোবাসার সম্পর্কের জন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিসর্জন দেয়ার ঘটনা অনেক বেশি। কিন্তু এই সকল সম্পর্ক বিসর্জন দেয়ার আগে দয়া করে ভেবে দেখুন আপনার ভালোবাসার সম্পর্কটি কি আসলেই এই বিসর্জনের যোগ্য? নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়ে কাজ করুন। আবেগ দিয়ে সব সময় চিন্তা করলে জীবন চলে না।

মনকে শান্ত করার ৬টি দারুণ উপায়।

কিছু কিছু সময় অকারণেই মানসিকভাবে অশান্তিতে ভুগে থাকি আমরা। অজানা কিছুর আশংকা, অতীতের কিছু পিছুটান, ভবিষ্যতের নানা চিন্তা এবং কাজের চাপের কারণেই এইসকল মানসিক অশান্তিতে ভুগে অস্বস্তিতে পড়ে যায় মন।

এই অশান্তি ও অস্বস্তি খুব বেশি সময় ধরে চললে দেহ ও মনের জন্য হয়ে ওঠে মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই যতো দ্রুত সম্ভব এই মানসিক অস্বস্তি দূর করার প্রয়োজন। নতুবা এই সামান্য অস্বস্তি পরবর্তীতে মারাত্মক মানসিক অসুস্থতা ডেকে নিয়ে আসবে।
মাথা ঠাণ্ডা করার জন্য গ্রিন টী পান করে নিনঃ

যখনই মনে হবে আপনি খুব বেশি অশান্তিতে রয়েছেন তখন সোজা রান্নাঘরে চলে যাবেন। ১ কাপ গরম পানিতে সুন্দর করে গ্রিন টী বানিয়ে নিয়ে ছোটো ছোটো চুমুকে পান করে নিন গ্রিন টী। দেখবেন কাপের গ্রিন টী শেষ হওয়ার সাথে সাথে উদ্বেগও কমে আসবে।

বেডরুম থেকে সকল প্রযুক্তিগত জিনিস সরিয়ে ফেলুনঃ

টিভি, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার সব কিছু শোবারঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন। এইসকল প্রযুক্তিগত জিনিসের প্রভাব আমাদের মানসিকতার ওপর পড়ে। এইসকল জিনিসের কারণেও আমাদের দুশ্চিন্তা, অশান্তি ও অস্বস্তি আমাদের মধ্যে কাজ করে।

ইতিবাচক চিন্তা করার চেষ্টা করুনঃ

মানসিক অস্বস্তি এবং অশান্তির মূল কারণ হচ্ছে নেতিবাচক মনোভাব। যতো বেশি দুশ্চিন্তা করতে থাকবেন ততোই মানসিক অশান্তি বাড়তে থাকবে। যদি আপনি একটি খারাপ অবস্থাকেও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে পারেন তবে তা সমাধানের পদ্ধতিও আপনার মাথায় কাজ করবে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে নিজের চিন্তাধারায় কিছুটা পরিবর্তন আনুন।

খুব ভালো কোনো বন্ধুর সাথে ৫ মিনিট কথা বলুনঃ

মানসিক অশান্তি শুরু হলে কোনো কাজই ঠিক মতো করা হয় না। কিছুই করতে ভালো লাগে না এবং মন বসে না, তখন অন্য যে কোনো কিছু বাদ দিয়ে নিজের সব চাইতে ভালো বন্ধুকে ফোন দিয়ে দিন। কথা বলুন তার সাথে। মনের কথা শেয়ার করতে পারলে মানসিক স্বস্তি ফিরে পাবেন।

চোখের সামনের সব হাবিজাবি জিনিস দূর করুনঃ

যখন মন মেজাজ খারাপ থাকে এবং অশান্তি কাজ করে মনে তখন আরও বেশি খারাপ লাগা শুরু হয় নিজের চোখের সামনে অযথা ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখলে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। চোখের সামনে থেকে সব ধরণের হাবিজাবি জিনিস সরিয়ে ফেলুন।

সুন্দর কিছু ঘ্রাণের ব্যবস্থা করুনঃ

মানসিক শান্তির জন্য সব চাইতে দ্রুত কাজ করে সুন্দর কোনো ঘ্রাণ। ঘরে তাজা ফুলের ব্যবস্থা করে রাখবেন। অথবা নিজের পছন্দের কোনো ঘ্রাণের এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে ফেলুন। কিংবা কমলা লেবুর ঘ্রাণের ব্যবস্থা করুন। দেখবেন খুব দ্রুত আপনার অস্বস্তি কেটে যাচ্ছে।

ভালোবাসা সম্পর্কে যে ৬টি অসাধারণসত্য আপনার মোটে ও জানা নেই!

অনেকেই বলেন
প্রেমে পড়লে মানুষ উদাসীন
হয়ে পড়েন, ভাবুক হয়ে যান
এবং কবি কবি ভাব চলে আসে। এই সকল
কথা অনেকেই মজা করার জন্য
বলে থাকলেও কিছু কিছু ব্যাপার
আসলেই সত্যি। প্রেমে পড়লে মানুষের
মধ্যে অনেক ধরণের পরিবর্তন
আসে যা সম্পর্কে আমরা আসলেই তেমন
কিছু জানি না।

প্রেম এবং প্রেমে পড়া বিষয়ক এমন
অনেক তথ্য
রয়েছে যা বলে দেবে প্রেম শুধুমাত্র
মানসিক বা মনের ব্যাপার নয়
এটি শারীরিক ব্যাপারও বটে।
প্রেমের অসাধারণ কিছু
ক্ষমতা রয়েছে যার
সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই।
আমাদের আজকের ফিচার এই ভালোবাসা বিষয়ক অদ্ভুত ও
অজানা কিছু তথ্য নিয়ে।

(১) মাত্র ৪
মিনিটে মানুষ
প্রেমে পড়েন

মানুষ প্রেমে পড়তে মাত্র ৪
মিনিট সময় নিয়ে থাকেন। এই তথ্যটি যতোই আজব
লাগুক শুনতে কিন্তু এটিই সত্য। এবং এই ৪ মিনিটে একজন
মানুষের মস্তিষ্ক সামনের মানুষটির
শুধুমাত্র কথা বলার ধরণ, নিজস্বতা এবং দৈহিক অঙ্গভঙ্গির উপরেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।

(২) ভালোবাসার দৃষ্টির সাথে জড়িত হৃদপিণ্ডের স্পন্দন
যখন প্রেমিক ও প্রেমিকা ভালোবাসামাখা দৃষ্টিতে একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তখন ২ সেকেন্ড পর তাদের হৃদপিণ্ডের স্পন্দন একই সাথে মিলে যায়। গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে ভালোবাসাপূর্ণ দৃষ্টি বিনিময়ের সময় দুজনের হৃদপিণ্ড একই গতিতে স্পন্দিত হতে থাকে।

(৩) প্রেমে পড়ার এবং কোকেন নেয়ার অনুভূতি একই
প্রেমে পড়লে মানুষের মস্তিষ্কে যে স্টিমুলেশন ঘটতে থাকে তা দেহে কোকেন প্রবেশ করলে মস্তিষ্কে যে স্টিমুলেশন
ঘটে তার সমতুল্য। কোকেন গ্রহনে মস্তিষ্কের ১২ টি অংশের প্রদাহ বৃদ্ধি পায় যা প্রেমে পড়ার সমান।

(৪) ব্যথানাশক ঔষধ হিসেবে কাজ করে প্রেমের আলিঙ্গন
ভালোবাসার আলিঙ্গনের
রয়েছে ব্যথা দূর করার অবিশ্বাস্য
ক্ষমতা। গবেষণায় দেখা যায় প্রিয়
মানুষটিকে আলিঙ্গনের সময়
দেহে যে হরমোনের নিঃসরণ
ঘটে তা মস্তিষ্কের ব্যথা অনুভবের
নার্ভকে শিথিল করে দেয়
যা ব্যথানাশক ঔষধের কাজ।

(৫) একই ব্যক্তিত্বের মানুষের মধ্যে প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয় না
একই ব্যক্তিত্ব ও মনোমানসিকতা সম্পন্ন
প্রেমিক/প্রেমিকার ভালোবাসার
সম্পর্ক বেশীদিন টিকে থাকে না। এই
থিওরির সাথে গবেষকগণ ‘Opposites
attract’ বিষয়ের সাথে তুলনা করে থাকেন। কারণ
পজিটিভ ও নেগেটিভ বিষয়টি সব সময়ই
মানুষের মস্তিষ্কে প্রভাব বিস্তার
করে থাকে।

(৬) ভালোবাসা বাড়ায় সৃজনশীলতা
ভালোবাসার মানুষের কথা, মানুষটির
সাথে কাটানো সময় এবং যৌন
মিলনের কথা ভাবলে বা চিন্তা করলে সৃজনশীলতা বেড়ে যায় প্রায় কয়েকগুণ। এইসকল বিষয় মস্তিকের ৬
টি ইন্দ্রিয় সম্পূর্ণরূপে খুলে দেয়। যার
ফলে মানুষ সৃজনশীল কাজে পারদর্শী হয়ে যান।

তারুণ্যের যে ভুলগুলোর জন্য পস্তাতে হয় সারাটি জীবন!

তারুণ্য একটা ভীষণ অন্যরকম সময়। এই তারুণ্যেই আমরা যেমন জীবন গড়ার প্রথম ধাপগুল ফেলি, একই সাথে করে ফেলি অনেক বড় বড় ভুল। তরুণ বয়সে হৃদয় যেন অনেক বেশি উষ্ণহয়ে থাকে, আবেগ গুলো থাকে টগবগে। মনে হয় বুশি বিশ্ব জয় করে ফেলা যায়। কিন্তু এই তারুণ্যেই আমরা না বুঝে এমন অনেক ভুল করে ফেলি, যেগুলোর মাসুল দিতে হয় সারাটা জীবন। সেই ভুলগুলো আজীবনের জন্য বদলে দেয় একজন মানুষের জীবন। আসুন, জানি তারুণ্যের বিশাল ৭টি ভুল সম্পর্কে----
১. লেখাপড়ায় গুরুত্ব না দেয়াঃ

এই বয়সে লেখাপড়া করতে ইচ্ছা করবে না এটা স্বাভাবিক। এই বয়সে বন্ধুদেও সাথে আড্ডা দিতে বেশি ভালো লাগে। এই বয়সে নতুন নতুন বিষয়ে আগ্রহ জন্মে সবারই। কিন্তু যারা এই বয়নে লেখাপড়াকে ফাঁকি দেয় তারা ভবিষ্যতে ভালো করতে পাওনা। বয়স চলে যাওয়ায় আর পড়াশোনাও করতে পাওনা। ফলে ভালো কিছু না করলে তারা সবদিক থেকে পিছিয়ে যায়। যার মাশুল অকেজো হয়ে পড়ে থেকে সারাটি জীবন দিতে হয়।

২. নেশায় আসক্ত হয়ে যাওয়াঃ

তরুণ বয়সে নতুন কিছু করার ভূত মাথায় চেপে বসে। এ কারণে সবসময় নতুন কিছু করতে চায়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে তা কোনো ধরনের ইতিবাচক বিষয় হয়ে ওঠে হয়ে ওঠে সব নেতিবাচক বিষয়। এ কারণে বন্ধুর সাথে ফাজলামি করে নেশা করতে গিয়ে অনেকেই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে এই তরুণ বয়সে। এটা অনবরত চলতে থাকলে তা আর ছেড়ে দিতে পারে না অনেকেই। এ কারণে সারাটি জীবন নেশায় অসক্ত হয়ে এক অন্ধ জীবন পাড়ি দিতে হয়। কেননা নেশায় আসক্তরা জীবনে সাফল্য কোনোভাবেই পায় না। তারা অন্ধকারেই ডুবে থাকে।

৩. ঝোঁকের মাথায় শারীরিক সম্পর্ক করে ফেলাঃ

তরুণ বয়সে ছেলেমেয়ে উভয়েই প্রেমে পড়ে বেশি। আর যুগের টানে প্রেম করলে নিজেদের উপরে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকে খুব কম। তরুণ বয়সে এরা ঝোঁকের মাথায় শারীরিক সম্পর্ক করে ফেলে। ফলে নষ্ট হয়ে যায় দুটি জীবন। জীবনে আর ভালো কিছু করতে পারেন না তারা। হঠাৎ গর্ভে সন্তান চলে এলে তারা পড়ে যায় মহাবিপদে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে মেয়েটি। এই অসচেতনতার কারণে নষ্ট হয়ে যায় তাদের ভবিষ্যত।

৪. আড্ডাবাজিতে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করাঃ

তরুণ বয়সে আড্ডাবাজি করতে বেশি ভালো লাগে। কেমন যেন একটা আকর্ষণবোধ করে তরুণ-তরুণীরা। এই আড্ডাগুলো অযথা কতগুলো ফালতু বিষয়ের উপরে হয়ে থাকে। এর ফলে পড়াশোনার ক্ষতি হয়ে থাকে। এই বাজে আড্ডাবাজির কারণেও জীবনে কিছু করতে পারে না তরুণ ছেলেমেয়েরা।

৫. মা বাবার কোনো কথাই না শোনাঃ

তরুণ বয়সটি অনেক বাড়ন্ত একটি সময়। এ সময় নিজে যা বুঝে তাই করতে ইচ্ছা করে। মা বাবার কথা শুনতে ইচ্ছা করে না। এ কারণে দেখা গেছে যে বেশিরভাগ তরুণ তরুণী মা বাবার কথা শুনতে চায় না। বাবা মা যেটা নিষেধ করে সেটাই করতে চায় বেশি করে। এর ফলে নানা ধরনের বিপদে পড়ে ছেলেমেয়েরা। কিন্তু এমন কোনো বিপদে হয়ত পড়তে হল যার ফলে সারাটি জীবন পস্তাতে হল তাকে।

৬. ভবিষ্যত পরিকল্পনা না করাঃ

ভবিষ্যত পরিকল্পনা করার একটি মূখ্য সময় হল এই তরুণকাল। এখান থেকেই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলতে হয়। তরুণরা যদি এই সময়টিকে কাজে না লাগিয়ে সবটা সময় মন যা চায় তাই করে তাহলে তাদের ভবিষ্যত একেবারে শূণ্যের কোটায় এসে পৌছুবে। এর মাশুল দিতে হবে তাকে সারাটি জীবন।

৭. পলিটিক্স বা খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়াঃ

তরুণ বয়সে সমূহ সম্ভাবনা থাকে কোনো ধরনের খারাপ কাজে বা নোংরা পলিটিক্সে জড়িয়ে পড়ার। খুব সাগ্রহেই এই অবস্থানগুলোকে আপন করে নেয় তরুণরা। তারুণের মুহূর্তে একজন তরুণের একেবারেই উচিৎ হবে না নোংরা পলিটিক্সে বা খারাপ কোনো কাজে জড়িয়ে পড়া। এর ফলে এমনও হতে পারে সারাটি জীবন তাকে পস্তাতে হতে পারে।

সকালের যেসব ভুলে আপনার দিনটাই খারাপ যাবে

কথায় বলে, “মর্নিং শোজ দা ডে”। দিনের
শুরুটা ভালো হলে নিঃসন্দেহে বাকি দিনটাও
ভালো যাবে। কিন্তু অনেক
সময়ে দেখা যায়, নিজেদের ভুলেই সকাল সকাল আমাদের মন-মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে, শরীর
হয়ে উঠছে অবসন্ন। ভালো একটি দিন পেতে হলে অবশ্যই এই ভুলগুলোকে এড়িয়ে চলা উচিত আপনার।

১) ঝট করে ঘুম থেকে ওঠা
ঘুম থেকে উঠুন ধীরে ধীরে। নিজের
শরীরকে জেগে উঠতে সময় দিন।
গভীরভাবে শ্বাস নিন। ফলে শরীর
থেকে ঘুম ঘুম ভাবটা পুরোপুরি কেটে যাবে।

২) স্ট্রেচিং না করা
ঘুমানোর সময়ে আমাদের
পেশিগুলো অসাড় হয়ে থাকে, বিশেষ
করে আমাদের মেরুদণ্ড। ঘুম
থেকে উঠে এই পেশিগুলোকে স্ট্রেচ
না করলে সারাদিন ধরেই কর্মক্ষমতা কম
থাকবে। ঘুম থেকে উঠে ধীরে ধীরে হাত পা সচল
করে নিন। স্ট্রেচ করুন সাবধানে।

৩) চা পান করে দিন শুরু করা
খালিপেটে চায়ের মতো অ্যাসিডিক
পদার্থ পান করলে তা শরীরের
জন্যে মোটেই উপকারী হবে না।
বিশেষ করে চায়ের সাথে দুধ ও
চিনি থাকলে তা আরও ক্ষতি করবে।

৪) ফোন চেক করা
ঘুম থেকে ওঠার পর দু-ঘণ্টার মাঝে ফোন
চেক করবেন না। এতে উপকার তো হবেই
না বরং সকাল সকালই আপনার
মেজাজটা খারাপ হয়ে যাবে। ইমেইল
চেক করার মতো কাজগুলো অফিসে পৌঁছে তারপরই
করুন।

৫) নাস্তা না করা
সকাল বেলায় অনেকের অনেক
তাড়া থাকে সত্যি। কিন্তু তাই
বলে নাস্তা না করে বের
হয়ে যাওয়াটা অনেক বড় ভুল।
অনেকে ভাবেন এতে ওজন কমানো সহজ
হয়। আসলে কিন্তু হয় তার উল্টোটা।
আপনি যদি নাস্তা না করার অভ্যাস
গড়ে তোলেন তাহলে ওজন
বেড়ে একেবারে মুটিয়ে যাবেন
আপনি। এর কারণ
হলো সকালে ব্রেকফাস্ট
না করলে দিনের বাকি সময়টা আপনার
কেবলই ক্ষুধা লাগতে থাকবে এবং আপনি আজেবাজে ফাস্টফুড খেয়ে নিজের ক্ষতি করতে থাকবেন। এ
পরিস্থিতিতে পড়তে না চাইলে সকালে পেট
ভরে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিন।

৬) ঘুম থেকে উঠেই মেজাজ খারাপ
করে চেঁচামেচি করা
পরিবারের মানুষ, কাজের লোক
অথবা কর্মচারীর
সাথে চেঁচামেচি করে দিন শুরু
করলে দিনের শুরুতেই আপনার মেজাজ
হয়ে উঠবে বিষাক্ত আর সারা দিনটাই
নিঃসন্দেহে খারাপ যাবে। মেজাজ
খারাপ করার কারণ থাকলেও
চেষ্টা করুন নিজেকে শান্ত রাখার।
সম্ভব হলে প্রশান্তিময় কোনো সঙ্গীত
শুনুন।

৭) পরিকল্পনা ছাড়াই দিনটি শুরু করা
অপরিকল্পিতভাবে একটি দিন শুরু
করাটা অনেক বড় ভুল।
সকালে উঠে অনেকেই
অফিসে পরে যাবার পোশাক ঠিক
করতে পারেন না,ব্রেকফাস্টে কী খাবেন তার
সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না,
দরকারি কাগজ খুঁজে পান না। এসব
সমস্যা এড়াতে আগের দিন রাতেই একটু
সময় নিয়ে এসব ঠিক করে রাখুন।
দিনটা ভালোভাবে শুরু হলে শেষও
হবে ভালোভাবে।

বর্তমান যুগের ভালোবাসার ৫টি নিয়ম নীতি।

সোশ্যাল নেটওয়ার্কের এ যুগে ভালোবাসার নিয়ম কানুনও নতুন করে গড়ে উঠছে। সম্পর্ক গড়া ও সম্পর্ক ভাঙার মতো বিষয়গুলো এখন নতুন করে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।
১. চোখের আড়াল, মনের আড়ালঃ

ব্রেকআপ হয়ে যাওয়ার পর আপনি কি আপনার সাবেক সঙ্গীর সব স্মৃতি ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলো থেকে সরিয়েছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে এখনই তা করে ফেলুন। অন্যথায় সমস্যা আপনার পিছু ছাড়বে না। পুরনো এসব স্মৃতির মধ্যে থাকতে পারে স্ট্যাটাস, ছবি, নোটস ও গিফট। এ ছাড়াও পরিষ্কার করতে হবে ফেসবুকের হিস্টোরিও।

২. ডেটিং পদ্ধতি ও বিলঃ

প্রাচীন ডেটিং পদ্ধতিতে ছেলেরা মেয়েদের প্রস্তাব দেয় এবং ডেটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। আর হোটেল-রেস্টুরেন্টের বিলটাও ছেলেরা দেয়। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে। আজকাল অনেক মেয়েও ছেলেদের ডেটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। তবে সেক্ষেত্রে খাওয়ার বিলটাও আমন্ত্রণকারীর দেওয়াটাই শোভনীয়।

৩. আমার পথ ধর, নাহলে দূরে যাওঃ

নিজের মতের সঙ্গে সঙ্গীর সবকিছু মিলবে, এমন আচরণ করা সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবাস্তব। দুজন ভিন্ন মানুষ একত্রে আসলে তাদের আলাদা অনেক কিছুই থাকবে। কিন্তু এসব বিষয় মেনে নিয়েই সম্পর্কে জড়াতে হবে। কিন্তু দেখা যায় শুধু দুজনের মতামতের ভিন্নতাই নয়, বন্ধু-বান্ধবদের চাপেও সঙ্গীদের সম্পর্কে টানাপোড়ন ও ফাটলের সৃষ্টি হয়।

৪. ভালোবাসার পরিসমাপ্তি হয় কি?

আপনি কি ভালোবাসাকে চলমান একটি প্রক্রিয়া বলে মনে করেন? সারাজীবন একের পর এক সঙ্গী বদলাতে চান? নাকি মনের মতো একজন সঙ্গী খুঁজে পেলে তাকে নিয়েই জীবন গড়তে চান? বাস্তবে মানুষ ভালো কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশায় সঙ্গী বদল করে। কিন্তু এক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য কাউকে সঙ্গী না বানানোই ভালো।

৫. সততা সর্বোত্তম পন্থাঃ

আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সময় ভালো কাটছে না? নানা বিষয়ে তার সঙ্গে মতভেদ হচ্ছে? এক্ষেত্রে সৎ থাকুন। তাকে বুঝিয়ে বলুন ব্যাপারটা, সমাধান নিয়েও আলোচনা করুন। অভদ্রতা করার তুলনায় এটা ভালো।

যে ৭টি কাজ মেয়েরা করে ঠিকই কিন্তু কোনো কিছুতেই প্রকাশ করে না

মেয়েরা বেশ কিছু অদ্ভুত ধরণের কাজ করে থাকেন যা তারা সহসা প্রকাশ করতে চান না। বেশীরভাগ মেয়েদের মধ্যেই এই ধরণের অদ্ভুত কাজের প্রবণতা দেখা যায়। বলতে গেলে এইসকল কাজ মেয়েদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে।তবে সমস্যা হলো, যদি এইসকল কাজ সম্পর্কে কখনো প্রশ্ন করা হয় তবে কেউই স্বীকার করে নেন না। বরং তাদের কাজের পেছনে একগাদা বাহানা তৈরি করে ফেলেন। চলুন তবে দেখে নেই মেয়েদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অদ্ভুত রকমের কিছু কাজ।

১)পোশাক নির্বাচনঃ

অনেক পোশাক থাকলেও যে পোশাকটিতে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে সেই পোশাকটিই বারবার পরার অভ্যাস থেকে অনেক নারীর। এর পেছনের কারণ শুধুমাত্র নিজেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় দেখাতে চাওয়া।

২)সঙ্গীর সাথে আচরণঃ

সঙ্গীর ওপর অনেক রেগে গিয়ে নিজের নানা কাজের মাধ্যমে রাগ প্রকাশ করেন মেয়েরা। কিন্তু সঙ্গী যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কি রেগে আছো?’ তখন তার উত্তর হয় ‘মোটেই না’।

৩)আকর্ষণীয় পুরুষ নিয়ে ভাবাঃ

আকর্ষণীয় কোনো পুরুষের সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকেই তিনি যেই হোক না কেন তাকে নিয়ে নানা দিবাস্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়ে থাকেন মেয়েরা। এমনকি তাদের নামের পেছনের অংশ নিজের নামের সাথে জুড়ে দিয়েও মজা পান।

৪)সাজগোজের ব্যাপারঃ

মেয়েরা যতোই বলুক না কেন তার সাজগোজ করতে ভালো লাগে না, জুয়েলারি পরতে ইচ্ছে করে না, কিন্তু মনে মনে ঠিকই কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন যেখানে মনের মতো করে সেজেগুজে এবং গহনা পরে থাকতে পারবেন।

৫)প্রশংসা বাক্যঃ

প্রশংসা বাক্য শুনতে সকল মেয়েই পছন্দ করেন। এবং মনে মনে সব সময়ই চান তার কেউ প্রশংসা করুক। কিন্তু প্রশংসা বাক্যের উত্তরে কী বলা বা করা উচিৎ তা সম্পর্কে একেবারেই ধারণা রাখেন না মেয়েরা। সেকারণে কেউ তার প্রশংসা করলে বিব্রত বোধ করেন।

৬) অযথা শপিং

মার্কেটে ঘোরাঘুরির সময় যে জিনিসটি নজরে পড়ে পছন্দ হলে হুট করে কিনে ফেলেন অনেক মেয়েই। কিন্তু বাসায় নিয়ে আবিষ্কার করেন তার এই জিনিসের কোনো প্রয়োজনই নেই। কিংবা জিনিসটি দোকানে যতোটা সুন্দর লাগছিল তা বাসায় নিয়ে আসার পর একেবারেই লাগছে না।

৭) দেরি করে তৈরি হওয়াঃ

কোনো অনুষ্ঠান বা পার্টিতে যাওয়ার পোশাক আশাক সাজগোজ সব কিছু নিয়ে সারাটা সময় ভাবতে থাকেন ও এই ভাবা দিয়েই সময় পার করে ফেলেন। এবং শেষ মুহূর্তে সাজগোজ করতে গিয়ে তাড়াহুড়োয় সব ভজঘট পাকিয়ে দেরি করে ফেলেন।

ভালোবাসায় যে ৫টি চরম সত্য পুরুষ কখনোই বলতে চায় না

আপনার সঙ্গীটির সাথে সবকিছু ভাগাভাগি করে নেন আপনি? ঘর, বিছানা, মন এবং সব অনুভূতিও? করবেনই বা না কেন! সেও নিশ্চয়ই তার সব অনুভূতিই শেয়ার করে নেয় আপনার সাথে? কিন্তু আপনার এই ধারণাটি একদমই ভুল! জেনে হোক বা না জেনে, পুরুষদের কিছু অনুভূতি তারা কখনোই প্রকাশ করেনা। চেপে রাখে সবার কাছ থেকে। এমনকি নিজের সবচাইতে প্রিয় মানুষটির কাছ থেকেও।

১. আমার বন্ধুদের থেকে একটু দূরে থাকো-
মানুষ স্বভাবতই চায় সঙ্গী বা সঙ্গিনী তার বন্ধুদের সাথে মিশে যাবে, তাদেরকে নিজের বন্ধু ভেবে নেবে। পুরুষেরাও চান তাদের সঙ্গিনী যেন তার বন্ধুদের সাথে সহজ হয়। কিন্তু এটা সে পর্যন্তই। অনেক সময় প্রেমিকের বন্ধুরাও বেশ ভালো বন্ধু হয়ে ওঠে প্রেমিকার। বিশেষ করে ছেলে বন্ধুরা। আর সেক্ষেত্রেই প্রেমিকের মনে খানিকটা কষ্ট, ভয় আর আশঙ্কা চেপে বসে। তবে সেটা কিন্তু কখনোই মুখ ফুটে বলেননা তারা।

২. অন্যের প্রশংসা ভালো লাগে না তোমার মুখে-
তা সে সালমান খানই হোক অথবা ব্র্যাড পিট, নিজের ভালোবাসার মানুষটির মুখে অন্য পুরুষের প্রশংসা শুনতে অস্বস্তিবোধ করেন পুরুষেরা। তবে সেটা কখনোই প্রকাশ করেননা মুখে। বরং নিজের মন খারাপ ভাব ঢাকতে অনেক সময় সাহায্য নেন অন্য কোন নারী অভিনেত্রীর। তাদের প্রশংসা করে খানিকটা সময়ের জন্যে হলেও থামিয়ে দিতে চান সঙ্গীকে।

৩. তোমাকে হারিয়ে ফেলব হয়তো-
সবসময়ই ধারণা করা হয় যে নারীরা ভয় করবেন ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলার আর পুরুষ সঙ্গীটি থাকবেন পাথরের মতন শক্ত হয়ে। সামলাবেন প্রেমিকাকে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, পুরুষেরাও প্রতিটি মুহূর্তে ভয় করেন নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে তার চাইতেও ভালো কোন পুরুষের কাছে হারিয়ে ফেলার। মনে মনে ভাবেন- তোমাকে হারিয়ে ফেলব না তো! তুমি আমার চাইতে ভালো আর কাউকে খুঁজে নেবে না তো! এই কথাগুলো প্রায়ই ঘুরে বেড়ায় পুরুষের মনের এ কোণ সে কোণে। তবে খুব কম সময়েই সেটা বাইরে প্রকাশিত হয়।

৪. আমি কেবল শরীরের জন্যেই ভালোবাসিনা তোমাকে-
অনেক সময়ই ভাবা হয় পুরুষেরা নারীকে ভালোবাসেন বেশিরভাগটাই শরীরের জন্যে। আর সবকিছুর চাইতে শরীরের দিকেই মন বেশি থাকে তার। আর কাঁধে মাথা রাখা, হাত জড়িয়ে চুপ করে বসে থাকা- এগুলো কেবল মেয়েদের অধিকারে। কিন্তু না! হয়তো কেউ কেউ আছেন এমন। কিন্তু প্রায় সব পুরুষের মনেই লুকিয়ে থাকে ভালোবাসাপ্রবণ একটা মানুষ। যে কিনা ঠিক নারী সঙ্গীটির মতনই ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতে চায় ভালোবাসার মানুষটির কাঁধে মাথা রেখে। চায় কোন নির্জন স্থানে হাত ধরে বসে থাকতে। যদিও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ইগোর কারণে সেটা বলেনা তারা।

৫. আমাকে আমার মতন থাকতে দাও-
দিনের বেশিরভাগ সময়টাই হয়তো পুরুষটি আপনাকে দেয়। কিন্তু এরপরেও তো তার কিছু নির্দিষ্ট সময় থাকা দরকার যেখানে সে তার বন্ধুদের সাথে নিজের মতন করে থাকবে। আর তাই এসময়েও যখন নারীরা হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে

পুরুষের যে গুণগুলো বিবেচনা করে নারীরা

সব নারীরই কাম্য মনের মতো পুরুষ। ‘মনের মতো’ বিষয়টা অস্পষ্ট হলেও এর দ্বারা আকর্ষণ করার মতো কিছু গুণও বুঝায়। তাহলে এখন খুঁজতে হবে একজন পুরুষের মধ্যে এমন কী আছে যা নারীদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে? পুরুষের মধ্যে একজন নারী সর্বাগ্রে কী খোঁজেন? এমন প্রশ্ন নিশ্চয়ই ‍পুরুষদেরও জাগে! আর একই সঙ্গে আকর্ষণের ধরন থেকে নারীটি সম্পর্কেও একটা ধারণা করা যেতে পারে!

এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনেকের সঙ্গে শামিল হয়েছেন একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। গবেষণায় তারা নিশ্চিত করেন, নারীদের আকর্ষণের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে পুরুষের কণ্ঠস্বরের মধ্যে। তাদের দাবি, কেবল কণ্ঠ শুনেই যে কোনো পুরুষের চেহারা কল্পনা করে নেন নারীরা।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেন, কণ্ঠস্বর মনে গভীর রেখাপাত করে। আওয়াজ শুনেই একজন নারী অচেনা পুরুষটির শারীরিক গঠন, উচ্চতা, সেন্স অব হিউমার- এ সব আন্দাজের চেষ্টা করেন। এমনকি টেলিফোনের উল্টোদিকের মানুষটি কতটা ফ্যাশনেবল তাও আঁচ করার চেষ্টা করেন।

এখন নিশ্চয় নারীদের অনুধাবন ক্ষমতা সম্পর্কে আপনার আস্থা জাগছে! দেখতেই পাচ্ছেন কীভাবে কণ্ঠস্বরের রেশ ধরে পুরো মানুষটাকে কল্পনা করে নিচ্ছেন। গবেষকদের ব্যাখ্যা শব্দের স্পন্দন ও কণ্ঠের ওঠানামাই নাকি আসল বিষয়। ভাষা, শব্দ ও বাক্য এ সব বিষয় এ ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এবার বুঝি যতটা ভাবছেন বিষয়টা তার চেয়েও সুক্ষ্ম!

ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের এ গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, পুরুষদের কণ্ঠ ভারী এবং নারীদের ‘হাই পিচড’ হলে সকলে তাকে আকর্ষণীয় মনে করে। এমন কণ্ঠের শ্রোতা তখন বক্তার শারীরিক গঠন কল্পনা করে নেয় মনে মনে। শুধু তত্ত্ব নয়, গবেষকরা হাতেনাতে পরীক্ষা করে নিজেদের দাবির প্রমাণ পেয়েছেন। ১০ জন নারীকে ধারণ করা পুরুষ কণ্ঠ শোনানো হয়েছিল। পুরুষ কণ্ঠটি শুনে মহিলাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়।

দেখা যায়, প্রত্যেকেই গলার আওয়াজ শুনে পুরুষটির শারীরিক গঠন, যৌন আবেদন, এমনকি মুখের গড়নও আঁচ করার চেষ্টা করেছেন। মহিলাদের উত্তর বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা আরও কিছু প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। যেমন, পুরুষ কণ্ঠ ভারী হলে ও কম কাঁপলে নারীরা তা বেশি পছন্দ করে। তাহলে পুরুষদের জন্য কণ্ঠ ভারী করা ও না কাঁপার কোচিং খোলা যেতে পারে। কী বলেন পুরুষরা!

কাছের বন্ধুটির বিয়ের পর যেসব বিচিত্র ঝামেলায় পড়তে পারেন আপনি!

বন্ধু ছাড়া আসলে আমাদের জীবনটা একেবারেই পানসে হয়ে যেতো। আমাদের জীবনটাকে রঙিন ও সুন্দর করে তোলার পেছনে বন্ধু বান্ধবের বেশ বড় হাত রয়েছে। বন্ধুত্বের সম্পর্কটি এমন যে, আপনি বিনা দ্বিধায় সব কিছু বলে ফেলতে পারেন। মনের দুঃখ, সুখ সব কিছু শেয়ার করার জন্য একজন ভালো বন্ধুর উপস্থিতি সকলের জীবনে প্রয়োজন।

কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্ক একটু ফিকে হয়ে আসে যখন বন্ধুটির বিয়ে হয়ে যায়। সত্যি বলতে কি, বন্ধুর ওপরে একটু বেশি দায়িত্ব এসে পড়ে বলেই বন্ধুত্বের সম্পর্কের গভীরতা একটু কমেই আসে। কিন্তু সেই সাথে ভালো বন্ধুটির বিয়ে হয়ে গেলে অন্যান্য অনেক বন্ধু বান্ধবের বেশ ভালো রকমের ঝামেলা পোহাতে হয়। এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও ভালোই যন্ত্রণা হয়। জানতে চান সেই ঝামেলা কী ধরণের?


অভিভাবকের হুট করেই মনে হবে আপনারও বিয়ের বয়স হয়েছে
আপনি অভিভাবকের সামনে দিয়ে দিনে পঞ্চাশবার হেঁটে গেলেও আপনার অভিভাবকের কাছে আপনি ছোটই থাকবেন। কিন্তু আপনার বন্ধুটি যদি বিয়ে করে সংসার পেতে বসেন তবে আপনার অভিভাবকের কাছে হুট করেই আপনাকে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ মনে হবে। তখন তারা আপনার বিয়ের জন্য পাত্র/পাত্রী খোঁজা শুরু করে দেবেন। এই ব্যাপারটি ছেলেদের চাইতে মেয়েদের বেলায় বেশি ঘটে থাকে।

বিবাহিত বন্ধু সব সময় আপনাকে বিয়ে করার কথা বলতে থাকবেন
একটি গল্পেই রয়েছে ‘লেজ কাটা শেয়াল, বাকি শেয়ালদের লেজ কাটাতে চায়’। যে বন্ধুটি বিয়ে করে ফেলেছেন তিনি বেশ ভালো করেই বুঝছেন তিনি কোন পরিস্থিতিতে রয়েছেন। কিন্তু তারপরও তিনি চাইবেন তার মতো কাজ আপনারাও করুন।

বিবাহিত বন্ধুকে একলা খুবই কম পাওয়া যাবে
বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেবেন কিংবা ঘুরে আসবেন দূরে থেকে ? কিন্তু বিবাহিত বন্ধুর ক্ষেত্রে তা একেবারেই সম্ভব নয়। তিনি হয়তো আসবেন আড্ডায় কিংবা আপনাদের সাথে ঘুরতে যাবেন, কিন্তু তার সাথে অবশ্যই লেজের মতো করে নিজের সঙ্গী/সঙ্গিনীকে সাথে দেখতে পাবেন।

আত্মীয় স্বজন আপনার বিয়ের ব্যাপারে উঠেপড়ে লেগে যাবেন
আপনার আত্মীয়স্বজন ও পরিচিত মানুষের মুখে আপনার জন্য একটি কথাই থাকবে ‘বন্ধু তো বিয়ে করে ফেললো, তুমি করছ না কেন?’ এবং সুযোগ পেলে আপনার সামনে হাজির করবেন বিভিন্ন জনের বায়োডাটা যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন।


আগের মতো ডাকলেই পাওয়া যাবে না বিবাহিত বন্ধুকে
হুটহাট প্ল্যান করা কিংবা রাতে বাইরে ঘুরে বেড়ানো বন্ধুদের সার্কেল একেবারেই ভেঙে যায় বন্ধুর বিয়ের পড়ে। কারণ তখন আপনার বিবাহিত বন্ধুর বাইরে বেরুনো থাকে সম্পূর্ণই তার সঙ্গীর অনুমতি নির্ভর। তাই হুটহাট প্ল্যান করা সম্ভব হয় না। হলেও বিবাহিত বন্ধুটিকে বাদই দিতে হয়।

বিবাহিত বন্ধুগণ আপনি সিঙ্গেল থাকলে আপনার সম্পর্ক করিয়ে দিতে চাইবেন
বিবাহিত বন্ধু আপনাকে যদি লাজুক স্বরে নিজের কোনো বন্ধু বা আত্মীয় অথবা পরিচিত মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন তাহলে বুঝে যাবেন আপনার বন্ধুটির মনে আপনার একা থাকা সম্পর্কে ঈর্ষার জন্ম হয়েছে। এবং তিনি চান আপনি কোনো সম্পর্কে জড়ান।

পছন্দের নারীকে আকর্ষন করার গোপন কৌশল

বেশ কিছুদিন ধরেই ভালো লেগে গেছে মেয়েটিকে। মনে হয় প্রেমেই পড়ে গিয়েছেন তার। সারাদিনের চিন্তায় শুধুমাত্র এই একটিই মানুষ। সমস্ত সুখ যেন সেই মানুষটিকে ঘিরেই। সে আপনার আশে পাশে থাকলে পৃথিবীটাকে অনেক বেশি সুন্দর মনে হয় আপনার কাছে। সব কিছুই প্রেমে পড়ার লক্ষণ।কিন্তু সমস্যা একটাই। বুঝতে পারছেন না কিভাবে আপনি আকর্ষণ করবেন সেই মেয়েটিকে প্রিয় মানুষকে মনের কথা গুলো বলতে হলে এবং রাজি করাতে হলে প্রিয় মানুষটির মনোযোগ আকর্ষণ করা জরুরি। আর তাই পছন্দের নারীটিকে আকর্ষণ করার জন্য আপনাকে হতে হবে সচেষ্ট। আসুন জেনে নেয়া যাক পছন্দের নারীকে আকর্ষণ করার ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে----

পছন্দের নারীর জীবনে সুপারম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হনঃ

আপনি যদি আপনার পছন্দের নারীকে আকৃষ্ট করতে চান তাহলে তার জীবনের ‘সুপার ম্যান’ হয়ে যান। অবাক হয়ে গেলেন? সুপার ম্যান হওয়া তেমন কোনো কঠিন বিষয় না। শুধু পছন্দের মানুষটির বিপদে পাশে দাঁড়ালে আর ইচ্ছা অনিচ্ছার দিকে খেয়াল রাখলেই আপনি হতে পারবেন তার সুপার ম্যান।

সবসময় তাঁর কল ও মেসেজের জবাব দিনঃ

আপনার পছন্দের নারীটি যদি আপনাকে খুব শখ করে কল করে কিংবা ম্যাসেজ দেয় তাহলে আপনি যত ব্যস্তই থাকুন না কেন চেষ্টা করুন সেগুলোর জবাব দিতে। একবার যদি অবহেলা করে ফেলেন তাহলে আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে আপনার দূরত্ব বেড়ে যাবে অনেক খানি।

দুঃসময়ে উপদেশ না দিয়ে পাশে থাকুনঃ

আপনার পছন্দের নারীটির জীবনে দুঃসময় চলছে? তাকে অহেতুক উপদেশ বাণী না শুনিয়ে তাকে সঙ্গ দিন। চেষ্টা করুন সব সময় তার পাশে থাকার। তাহলে সে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে।

নিজের চুলের যত্ন নিনঃ

নারীরা ছেলেদের চুল খুবই ভালোবাসে। সুন্দর ও পরিষ্কার চুল এবং আধুনিক হেয়ার কাট দিয়ে নিজেকে ফিটফাট রাখুন। আপনার পছন্দের নারী খুব সহজেই আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

নিজেকে রাখুন দৈহিক ভাবেও আকর্ষণীয়ঃ

পছন্দের নারীকে আকর্ষণ করতে চাইলে আপনার দৈহিক গঠনের দিকে খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত ওজন, খুব কম ওজন কিংবা ভুড়ি আপনার আকর্ষন কমিয়ে দিতে পারে আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে। আর তাছাড়া আপনার শারীরিক গঠন সুন্দর হলে আপনাকে যে কোনো পোশাকেই মানিয়ে যাবে। এখনকার নারীরা ছেলেদের ফিগারের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। তাই আপনার পছন্দের নারীকে আকর্ষন করতে চাইলে নিজের শারীরিক গঠনের দিকে খেয়াল রাখুন।

পারফিউম ছাড়া চলবেন না মোটেইঃ

নারীরা সব সময়েই সুন্দর ঘ্রান পছন্দ করে। আর তাই একজন নারীকে আকর্ষণ করার সবচাইতে কার্যকরী একটি উপায় হলো রুচিশীল সুন্দর সুগন্ধী ব্যবহার করা। আপনার পছন্দের নারীর আশে পাশে থাকলে অন্তত সুগন্ধী ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে সে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং আপনার প্রতি তার আকর্ষণ সৃষ্টি হবে।

পরিচ্ছন্নতা ও স্মার্টনেসের দিকে খেয়াল রাখুনঃ

পছন্দের নারীটিকে আকর্ষণ করার জন্য সব সময় পরিচ্ছন্নতা ও স্মার্টনেসের দিকে লক্ষ্য রাখুন। নারীরা স্মার্টনেস পছন্দ করেন। বিশেষ করে ক্যাসুয়াল পোশাকে চাইতে ফরমাল পোশাকেই পুরুষদেরকে বেশি পছন্দ করেন নারীরা। তাই পছন্দের নারীর মন পাওয়ার জন্য নিজেকে সব সময় ফিটফাট ও পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।

হাসি ও খাওয়াদাওয়ার মার্জিত ভঙ্গি রপ্ত করুনঃ

নারীরা হাসিখুশি পুরুষদেরকে পছন্দ করে। গম্ভীর ধরনের পুরুষদের ধারে কাছেও ঘেষতে চায় না নারীরা। পছন্দের নারীর মন পেতে চাইলে সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। নিজেকে আড্ডা, রসালাপ ও নানান রকম প্রানবন্ত কাজে নিয়জিত করুন। এছাড়াও খাওয়ার দাওয়ার ভঙ্গিতেও হওয়া চাই স্মার্ট। শব্দ করে খাওয়া কিংবা ছড়িয়ে ছিটিয়ে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। তাহলে আপনার পছন্দের নারী খুব সহজেই আপনার প্রতি আকর্ষণবোধ করবে।

চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শিখুনঃ

পছন্দের নারীর মন পেতে চাইলে তার সাথে সব সময় চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। কথা বার্তায় কোনো ধরনের জড়তা রাখবেন না। কথা বার্তার জড়তা কিংবা নিজেকে গুটিয়ে রাখা নারীরা একেবারেই পছন্দ করেন না। সম্ভব হলে তার প্রতি আপনার আকর্ষণের বিষয়টি সরাসরি বলে দিন। এতে আপনার পছন্দের নারী রাজি হোক কিংবা না হোক আপনার প্রতি তার ধারণা ভালো হবে এবং আপনার নির্ভিকতার প্রতি আকৃষ্ট হবে সে।

স্লিম এবং আকর্ষনীয় ফিগারের অধিকারী হওয়ার সহজ উপায়

১. প্রত্যেক সপ্তাহে একই দিনে ও একই সময়ে ওজন মাপুন। এটা আপনাকে মানসিকভাবে সাহায্য করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে, রাখবে সতর্ক।

২. এলোপাথাড়ি ব্যায়াম না করে নিজের শরীরের সাথে মানানসই ব্যায়াম বেছে নেবেন। দৈনিক সময়মত করবেন ব্যায়ামটুকু। বাজার থেকে কেনা সস খাওয়া বাদ দিন, এতে প্রচুর চিনি থাকে।

৩. রোজ দিনে অন্তত একবার হালকা শরীরচর্চা করা জরুরি। দৈনিক ২০ মিনিট দিন ব্যায়ামে। হয়তো কোথাও হেঁটে গেলেন, কিংবা বারান্দায় দাঁড়িয়ে সেরে নিলেন জগিং।

৪. রাতের খাবার খাওয়ার পর খানিকক্ষণ হালকা শরীরচর্চা করা ভালো। খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর একটু হেঁটে নিতে পারেন। এতে শরীর ঝরঝরে থাকবে।

৫. ডায়েটিং রোজকার জীবনে নিশ্চয়ই জরুরি, তবে খাবার খাওয়ার মধ্যে যেন বেশি সময়ের ব্যবধান না থাকে। ডায়েট করতে গিয়ে কখনোই না খেয়ে থাকবেন। দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচ বার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। হ্যাঁ, অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার।

৬. চিনি খাওয়া কমিয়ে নিয়ে আসুন দিনে দুই চামচে। এর বেশি প্রয়োজন নেই।

৭. খাওয়া দাওয়ার সঠিক সময় মেনে চলুন। একদম ঘড়ির কাঁটা ধরে। হজম ক্ষমতা গতিশীল রাখতে এটা খুব জরুরি।

৮. সারাদিনের প্রত্যেকটা খাবার খাবেন, বাদ দেবেন না। এমনকি ব্রেকফাস্ট খাওয়াও প্রয়োজন অবশ্যই। পেট দীর্ঘক্ষণ খালি রাখবেন না। এতে মেটাবলিজম কমে যাবে ও ওজন বাড়বে।

৯. যেহেতু আজকাল বেশিরভাগ চাকরিও সেই ডেস্কে বসে,তাই মেয়েদের ক্ষেত্রে দৈনিক ক্যালোরি গ্রহনের পরিমান দিনে ১০০০-১৫০০ বেশি না হওয়াই ভাল। পুরুষের শারিরিরক চাহিদা একটু বেশি বিধায় তাদের জন্য ২০০০ ক্যালোরি বরাদ্দ। এর বেশি হলেই ভুঁড়ি জমতে সময় লাগবে না!

১০. নির্দিষ্ট বেলার খাবারের মাঝের সময়ে যদি খিদে পায়,তাহলে প্রচুর পরিমানে পানি খান। খেতে পারেন প্রচুর ফল।

১১. মিষ্টি, কোমল পানীয়, কেক ইত্যাদি খাবার সপ্তাহে একদিন। বিস্কুট কিনতে হলে ডায়েট বিস্কুট কিনুন।

১২. প্রাণীজ ফ্যাট, বিশেষত লাল মাংস ও ডালডা খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন। মাংস খেলে চামড়া ও চর্বি বাদ দিয়ে খান অবশ্যই। স্লিম হওয়ার ২০টি উপায়

১৩. অতিরিক্ত দুধ জাতীয় খাবার যেমন মাখন বা চিজ বেশি খাবেন না। সপ্তাহে দুদিন চলতে পারে।

১৪. দিনে দুইকাপ গ্রিন টি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

১৫. ভাজা-পোড়া খাবেন সপ্তাহে একদিন।

১৬. পর্যাপ্ত পরিমানে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খান (যেমন – আলু, ভাত, রুটি)। এগুলো বেশি খাওয়া মানেই শরীর মোটা হয়ে যাওয়া। লাল চালের ভাত ও লাল আটার রুটি খেতে পারলে সবচাইতে ভালো।

১৭. চেষ্টা করুন সকালে ভারী ব্রেকফাস্ট করার। সামান্য ভারী লাঞ্চ এবং হালকা ডিনার করার। নাস্তা হিসেবে খান বাদাম, মুড়ি, ফল, ডায়েট বিস্কুট।

১৮. খাবারের প্লেটের আকার ছোট করুন এবং একবারের বেশি দুবার নিয়ে খাওয়ার প্রবণতা ত্যাগ করুন। খাবার একবারেই প্লেটে তুলে নেবেন।

১৯. দুপুরে ও রাতে অবশ্যই এক কাপ করে সালাদ বা কম মশলায় রান্না সবজি খেতে হবে।

২০. মাদকজাতীয় দ্রব্যের নেশা ছেড়ে দিন। মদ্যপান ছেড়ে দিন।

নারী কোন বয়সে কেমন পুরুষ চায়?

লাইফ ডেস্কঃ নারীর মন আর আকাশের রং নাকি ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায়! একজন পুরুষের কাছে নারী কখন কী চান, তার উত্তর খুঁজে পাওয়া দুরূহ। তবে বয়সের সাথে সাথে নারীর চাওয়াতেও আসে ভিন্নতা। নারীর পছন্দ-অপছন্দের বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলেন, পুরুষের কাছ থেকে নারীরা একেক বয়সে একেক রকম আচরণ পেতে চান। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক নারী কোন বয়সে কেমন পুরুষ চান।

যখন বয়স ২০-২৯

এই বয়সী নারীর প্রথম চাওয়া তাকে সুদর্শন হতে হবে। শতভাগ মুগ্ধ শ্রোতা হতে হবে । ফ্যাশন সচেতন হওয়া খুবই জরুরি। রোমান্টিক হতেই হবে। শিল্পানুরাগী না হলেও ধারনা থাকতে হবে। সেন্স অব হিউমার থাকতে হবে প্রবল। আর্থিকভাবে সচ্চল পরিবারের ছেলে হতে হবে, যাতে বায়না করলেই তা হাজির হয়ে যাবে এক মুহুর্তে। রোমান্সের জন্য জিম করা ফিগার থাকা প্রয়োজন, সর্বোপরি হিরো হিরো ভাব থাকতে হবে।

যখন বয়স ৩০-৩৯

ভালো ব্যাংক ব্যালান্স থাকা জরুরী। কথা বলার থেকে শুনবে বেশি। অখাদ্য হলেও রান্না খেয়ে প্রশংসা করতে হবে। কাজের বাহানা দেওয়া চলবে না। ম্যানার জানতে হবে। জন্মদিন এবং অ্যানিভার্সারি ভোলা চলবে না।

যখন বয়স ৪০-৪৯

পরিষ্কার পরিছন্ন থাকতে হবে। টয়লেট সীট নামিয়ে আসতে হবে। অন্তত উইক-এন্ডে সেভ করতে হবে। সংসারের খরচের টাকাটা যেন ঠিকমত আয় করতে পারে। স্ত্রীর কথা শুনে সব সময় হাঁ সূচক মাথা নাড়তে হবে। এমন একটা শার্ট পরতে হবে যেটা ভুঁড়ি ঢেকে রাখবে।

যখন বয়স ৫০-৫৯

নাক ও কানের চুল নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। পরিস্কার মোজা ও আন্ডারওয়্যার পরতে হবে। মাঝে মধ্যে সেভ করা জরুরি। কথা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া চলবে না। নাক ডাকা চলবে না। বেশি বেশি ধার না করাই ভালো। সপ্তাহে একদিন বাইরে খাওয়ার মতো ইচ্ছে থাকতে হবে।

যখন বয়স ৬০-৬৯

ঘুমের সময় নাক ডাকার শব্দ একটু কম হতে হবে। হাসার সময় বুঝতে হবে কেন সে হাসছে। খাওয়া নিয়ে য্ন্ত্রনা করা চলবে না। টাকা-পয়সার চিন্তা বাদ দিয়ে বউয়ের ওপর ভার ছেড়ে দিতে হবে। ছোট বাচ্চাদের ভয়ের কারণ হওয়া চলবে না।

যখন বয়স ৭০-৭৯

শ্বাস নেওয়ার মত শারীরিক শক্তি থাকতে হবে। মরার আগে বেশী খরচ করে যাওয়া চলবে না । মরার আগেই সব সম্পত্তি চুলচেরা হিসাব করে ভাগ করে দিতে হবে।

যে ৭ টি কারণে ভালো মেয়েরা প্রেমে প্রতারণার শিকার হন!

খুবই মিষ্টি একটি মেয়ে, আশেপাশের সকলেই তাঁকে ভালো জানে। মেয়েটির প্রশংসায় মুখর সবাই। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখবেন, এই মিষ্টি ভালো মেয়েগুলোই জীবনে প্রতারণার শিকার হয় বেশী। প্রায় প্রতিটি মিষ্টি ভালো মেয়েদের জীবনে থাকে একটা তীব্র প্রতারণার গল্প। ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে ভীষণ কষ্ট পেয়ে তিলতিল করে জ্বলেন তারা অনেকদিন। কিন্তু কেন মিষ্টি মেয়েগুলো সবসময় প্রতারণার শিকার হয়? আসুন, জানি ৭টি কারণ।

১) তারা খুব সহজে বিশ্বাস করেন ফেলেন
শুধু মেয়েরা কেন, একজন ভালোমানুষ মাত্রই খুব সহজে অন্যকে বিশ্বাস করে ফেলেন। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হুট করে বিশ্বাস করার হার অনেক বেশি। সরল মনের মেয়েগুলো খুব সামান্যতেই সকলকে বিশ্বাস করে ফেলে আর তাই প্রতারক পুরুষদের খপ্পরেও তারা বেশী পড়ে।

২) একটি সম্পর্ককে সারা জীবনের ভাবেন
বেশিরভাগ মিষ্টি মেয়েই একটি ভালোবাসার কিংবা প্রেমের সম্পর্ককে আজীবনের বলে মনে করেন। সম্পর্কে ভাঙন আসতে পারে, ব্রেকাআপ হতে পারে ইত্যাদি ব্যাপারগুলো নিয়ে তারা ভাবতেই চান না। সম্পর্কের শুরু থেকেই খুব বেশী সিরিয়াস হয়ে পড়েন তারা। আর এই ব্যাপারটাই অনেক পুরুষ মেনে নিতে পারেন না। তারা নিজেকে "ট্র্যাপড" মনে করতে থাকেন। ফলে সরে যান সম্পর্ক থেকে।

৩) যৌনতা ঘিরে পুরুষের একটি দারুণ ভুল ধারণা
পুরুষের একটা খুবই ভুল ধারণা আছে। আর সেটি হলো, মিষ্টি ধরণের ভালো মেয়েগুলো বিছানায় বা যৌন সম্পর্কে শীতল হয়। তারা যৌন খেলায় মেটে ওঠার মত সাহসী হয় না। এই ভুল ধারণার কারণেও অনেক পুরুষ প্রতারণা করে বেশী ভালো মেয়েদের সাথে।

৪) সম্পর্ক দ্রুত বিয়ের দিকে নিতে চাওয়া
একজন ভালো মনের সাধারণ নারী ভালোবাসার সম্পর্কটির একটি দ্রুত পরিণতি চান। কেন? কারন আমাদের সমাজ দীর্ঘদিন প্রেম করার বিষয়টি ভালোভাবে দেখে না। তাছাড়া পরিবার থেকে লুকিয়ে প্রেম করতেও স্বস্তি পান না ভালো মেয়েরা। আর এই কারণে পুরুষটিকে বিয়ের চাপ দিলে সরে যান সেই পুরুষ।

৫) বোন কিংবা বান্ধবীদের কথায় কান দেয়া
সরল মনের মেয়েগুলো বান্ধবী বা বোনদের কথায় খুব কান দেন। তারা কাউকে ভালো বলল, তারা প্রেম কিংবা বিয়ে করার উপদেশ দিল... এইসব শুনে ভালো মেয়েরা প্রভাবিত হয়। এবং খুব সহজেই একটি ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে বান্ধবী বা বোনদের ভুল পরামর্শ শুনে নিজের বর্তমান সম্পর্কটিকে তিক্ত করে ফেলে। ফলে বর্তমান প্রেমিক সম্পর্ক ভেঙে দেন।

৬) চাপা স্বভাবের হওয়া
নারী-পুরুষ নির্বিশেষেই ভালো মানুষগুলো একটু চাপা স্বভাবের হয়ে থাকেন। তারা হয়তো খুব হাসিখুশি, অনেক কথা বলেন। কিন্তু দিন শেষে নিজের প্রয়োজনটাই মুখ ফুটে বলতে পারেন না। স্বার্থপরও হতে পারেন না। এইসব কারণে সম্পর্কে তারাই প্রতারিত হয়ে থাকেন সবসময়।


৭) অভিনয় করতে না পারা
বেশিরভাগ পুরুষই প্রেমের সম্পর্কে একটু চটক-মটক আশা করেন। একটু ছলকলা, একটু অভিনয় ইত্যাদি আরও বহু কিছু। সরল মনের ভালো মেয়েগুলো এইসব বোঝেন না। ফলে প্রেমিক খুব সহজেই বিরক্ত হয়ে যান ও ছেড়ে দেন প্রেমিকাকে।

বড় ধরণের ব্যর্থতায় যেভাবে নিজেকে সামলে নেবেন

আমাদের জীবন অনেক ছোট। কিভাবে কোন দিক দিয়ে জীবন চলে যায় আমারা বুঝতেও পারিনা। কিন্তু জীবন যেভাবেই চলুক না কেন সবার জীবন একরকম নয়। কারো জীবনে থাকে অনেক আনন্দ, আবার কারো জীবনে কষ্টের শেষ নেই। এই আনন্দ, দুঃখ-কষ্ট নিয়েই প্রতিটি মানুষের জীবন চলতে থাকে। কিন্তু জীবনে চলার পথে কত ধরনেরই সমস্যায় পড়ি আমরা। কেউ সমস্যা হতে বেরিয়ে আসতে পারে আবার কেউ সমস্যার বেড়াজালে আটকে পড়ে জীবনে নেমে আসে ব্যর্থতা নামক কষ্টটি।

কিন্তু কখনো কোন কাজে ব্যর্থ হয়ে যাওয়া মানেই জীবন শেষ নয়। ব্যর্থ হওয়া মানে আরেকবার চেষ্টা করা। অনেকেই আছেন যারা কাজে ব্যর্থ হয়ে নিজের জীবনকে থামিয়ে রাখেন বার বার ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যপার যে, কোন কারণে জীবনে দুর্ঘটনা এলে তা নিয়ে আমরা স্বাভাবিক থাকতে পারি না। কিন্তু কিছুটা হলেও নিজেকে সামলে নেবার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই। তাই কোন ব্যর্থতায় কিভাবে নিজেকে সামলে নেবেন জেনে রাখুন কিছু বিষয়।

অনুভূতির সাথে মোকাবিলা করুন
হয়তো আপনার চাকরি চলে গিয়েছে, পরীক্ষায় খারাপ করেছেন, জীবন সঙ্গী অথবা প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে মনোমালিন্য কিংবা ব্রেকআপ অথবা ডিভোর্স হয়েছে, এইসকল ঘটনার অর্থ এই না যে আপনি হেরে গেছেন। হয়তো এসকল জিনিস আপনার কখনোই ছিলনা তাই জীবন থেকে চলে গিয়েছে। এর মানে এই না যে আপনি ব্যর্থ। আপনার এই ব্যর্থতার তিক্ত অনুভূতির সাথে মোকাবিলা করুন। নিজের মনকে সান্তনা দিন বার বার যাতে আপনি এই রকম সময়ে সামলে উঠতে পারেন।

সবাইকে সময় দিন
এই সময়ে নিজেকে তো সময় দেবেনই এবং যতোটা সম্ভব পরিবার, বন্ধুদের সাথে সময় দিন। কয়েকদিনের জন্য বন্ধু অথবা পরিবার নিয়ে ঘুরে আসুন। দেখবেন ভুলে থাকবেন কষ্ট গুলো। যে কাজ গুলো করতে ভালো লাগে সেগুলো করুন। কিভাবে আবার নতুন করে সব কিছু শুরু করবেন তা নিয়ে ভাবুন। জীবন কখনো থেমে থাকেনা তাই আপনি কেন থেমে থাকবেন তা একটিবার বিবেচনা করুন।

শেয়ার করুন
নিজের ভিতরে যে কষ্টই থাকুক না কেন চেষ্টা করুন তা ঝেড়ে ফেলতে। কারণ কষ্ট নিজের ভেতরে যত পুষবেন ততই কষ্ট বাড়বে। তাই কাছের কোন বন্ধু অথবা যিনি পরিবারের মধ্যে খুব আপন, যিনি আপনাকে বোঝেন তার সাথে শেয়ার করুন ব্যপারগুলো। ডাইরি লিখতে পারেন। মনের সব কথা যেভাবে ইচ্ছা লিখতে পারেন, দেখবেন খুব হালকা লাগবে নিজেকে।

ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন
মনে রাখবেন জীবনে যখন যাই ঘটুক না কেন, প্রতিটি বিষয় থেকেই শিক্ষা গ্রহনের অনেক কিছুই থাকে। তা হার কিংবা জীত যাই হোক। তাই সব ভুলে গিয়ে নিজেকে নতুনভাবে স্বাবলম্বী করে তুলুন আগামীতে শিক্ষা গ্রহণের জন্য।

কী ভাবে propose করলে উত্তর ১০০% হ্যাঁ আসবে

হঠাৎ করে কোন কিছুই ঠিক ভাবে হয় না কারন হঠাৎ পাওয়া জিনিস গুলা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয় যায়।

উদাহরণ,
ধরুন আপনি এক জন কে ভালবাসেন তাকে যদি হঠাৎ গিয়ে বলেন আমি তুমাকে ভালবাসি তাহলে ৯০% সিওর উত্তর না আসবে কারন
সে আপনাকে ভালভাবে জানেনা। আবার ধরুন বললেন আর হয়ে গেল কিছু দিন পর দেখবেন সেটা হাড়িয়ে যাচ্ছে। কাউকে ভালবাসলে হঠাৎ তাকে জানাবেন না কিছু সময় নিন,এই সময়ের ভিতরে তার সম্পর্কে জানুন যেমন

১)প্রথমে জানতে হবে সে অন্য কাউকে ভালবাসে কিনা?

২)তার ভালবাসার প্রতি আগ্রহ আছে কিনা?

৩)সে কি পছন্দ করে আর কি অপছন্দ করে?

উপরের বিষয় গুলা জানার পর,
*তার সাথে বন্ধুক্ত করুন
*আস্তে আস্তে তার বেষ্ট ফ্রেন্ড এ পরিণত হন তার সাথে সব কিছু শেয়ার করেন ঘুরতে যান বিভিন্ন কাজে হেল্প করুন এবং এক সময় সুঝোক বুঝে ভালবাসার কথা জানিয়ে দিন। এভাবে করলে হ্যাঁ আসার সম্ভবনা ৭০% বাকী ৩০% কয়েক দিন এর ভিতর হয়ে যাবে যদি সে বলে আমরা সুধু বন্ধু আর কিছু না তাহলে তাকে জোড় না করে কিছু দিন যোগাযোগ বন্ধ রাখুন দেখবেন আপনার অনুভব টা সে বুঝতে পারবে এবং ভালবাসা টা হয়ে যাবে... তবু ও যদি না হয় তাহলে বুঝবেন আপনি তার বেষ্ট ফ্রেন্ডই ঠিক ভাবে হতে পারেন নি..... 

মেয়েরা দিনে কতক্ষণ গল্প করে?

ইমনের পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। খুব একটা ভালো করেনি সে। ম্যাডাম রিপোর্ট কার্ডের নিচে লিখে দিলেন, ইমন ক্লাসে অহেতুক কথা বলে। বাচালতা তার স্বভাব। তবে চিন্তা করবেন না, আমি এমন একটি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি যে, তার এ অভ্যাস দূর হয়ে যাবে।

ইমন রিপোর্ট কার্ডটি বাবাকে এনে দেখাল। বাবা তাতে স্বাক্ষর করে ম্যাডামের উদ্দেশ্যে লিখে দিলেন, আপনি সফল হলে আমাকে জানাবেন। তাহলে পদ্ধতিটি আমি আমার স্ত্রীর ওপর প্রয়োগ করব।

ছেলে বা মেয়ে কারা বেশি কথা বলেন এ নিয়ে তর্ক, যুক্তি, পাল্টা যুক্তির শেষ নেই। এই প্রশ্নের সুরাহা করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। তারা রীতিমতো গবেষণা করে বের করেছেন মেয়েরা প্রতিদিন গড়ে পাঁচ ঘণ্টা গল্পগুজব করে সময় কাটান।

গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েরা বাসায় বা অফিসে যেখানেই থাকুন না কেন দিনে তারা প্রায় ২৯৮ মিনিট খোশ গল্প করেন, যা তাদের কর্মঘণ্টার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি। গবেষণার ফল নিয়ে ‘দ্য ডেইলি মেইল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোশগল্পে মেয়েরা সাধারণত পরচর্চা বেশি করেন। পরিচিতজন, সহকর্মীদের নিয়েই তারা বেশি কথা বলেন। এ ছাড়াও তাদের গল্পগুজবের বিষয় যৌনতা, কেনাকাটা ও টিভি সিরিয়াল। ওজন, খাদ্যাভ্যাস ও পোশাকসংক্রান্ত আলোচনায় মেয়েরা দিনে সময় ব্যয় করেন ২৪ মিনিট। জরিপে এক-তৃতীয়াংশ নারী বলেছেন, দিনের একটা সময় দুপুরে তারা কী খাবেন এ নিয়ে কথা বলে সময় কাটান। অন্য আরো বিষয়ের মধ্যে আছে কসমেটিক সার্জারি, শ্বশুরবাড়ি এবং তারকা জগৎ।


গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের সুরা কোম্পানি ফার্স্টকেপ ক্যাফে কালেকশন। ব্রিটেনের ‘কুইন অব চ্যাট’ বা ‘কথার রানী’কে খুঁজে বের করতেই তাদের এ প্রয়াস। কোম্পানির মুখপাত্র স্টিভ বার্টন বলেছেন, ‘বকবক করায় মেয়েদের জুড়ি নেই। আর কয়েকজন মেয়ে এক জায়গায় হলে তারা কী নিয়ে কথা বলেন, তা জানতে ছেলেদেরও আগ্রহ রয়েছে।

দেখা গেছে, বেশিরভাগ মেয়েই অন্য যে কারো চেয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। জীবনসঙ্গী, মা ছাড়াও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্ন ব্যাপার নিয়ে তারা কথা বলে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মেয়েরা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বেশিরভাগ সময় কাজের কথা বলে। অন্য দিকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গল্প করে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া ৩৬ শতাংশ নারী গোপন কথা চেপে রাখতে পারেন না।

কোন ধরনের মানুষ আপনার বন্ধু হবার যোগ্য নন !

বন্ধু মানে হাই-হ্যালো, ইয়েস-নো নয়। বন্ধু মানে এমন একজন যার সাথে জীবনের অনেকটা অংশ শেয়ার করা যায়, বিশেষ করে নিজের কষ্ট ও খারাপ লাগাগুলো। আর ঠিক এই কারণেই যে কাউকে বন্ধু বানিয়ে নিজের জীবনে স্থান দেয়া যায় না। তাই বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় পরখ করে নেয়াটা খুব জরুরী।

১. প্রথমত দেখুন মানুষটি ব্যক্তি হিসেবে কেমন, তার ব্যক্তিত্ব কেমন। যদি দেখতে পান যেতার ব্যক্তিত্ব সুন্দর নয় কিংবা অভিনয় দিয়ে ভরা, তাহলে বুঝবেন এমন মানুষের সাথে কখনই সত্যিকারের বন্ধুত্ব হবে না।

২. মানুষটির আচার আচরণ যদি আপনার পছন্দমত না হয় বা সমর্থন করতে না পারেন, তাহলেও বন্ধুত্বকরবেন না।

৩. সত্যিকারের শিক্ষা অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে তার রুচি, অভিলাষ ইত্যাদি যদি সুরুচিপূর্ণ না হয় তাহলেও সেই ব্যক্তিটি আপনার বন্ধু হবার যোগ্য নয়।

৪. লোভ মানুষকে যেকোনো পাপ কাজ করতে সহায়তা করে। তাই যদি দেখতে পান মানুষটির ভেতরে এই খারাপ দোষটি আছে তাহলে ধরেই নেবেন এই মানুষটিও আপনার বন্ধু হবার যোগ্য নন।

৫. দুশ্চরিত্রের মানুষকে তো কখনই সুযোগ দেয়াউচিত না আপনার সংস্পর্শে আসার। কেননা এরা মুখোশধারী মানুষ। যেকোনো মুহূর্তে আপনার ক্ষতি করে ফেলতে পারে। তাই এদেরও এড়িয়ে চলা বুদ্ধিমানের কাজ।

৬. দুমুখো সাপের মত মানুষ কখনই ভালো স্বভাবের হয়ে থাকে না। তাই এদেরকেও আপনার বন্ধু তালিকায় স্থান একেবারেই দেবেন না।

৭. প্রকৃত বন্ধু কখনই ক্ষতিকর হয় না। তাই এমনধরনের মানুষকে বন্ধু বানানো উচিত না যারা সমাজের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কেননা যেকোনো মুহূর্তে আপনারও বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে এরা। সুতরাং এই স্বভাবের মানুষটিও আপনার বন্ধু হবার যোগ্য না।

প্রেমিক মুখে যে ১০টি কথা মারাত্মক ক্ষেপিয়ে দেয় মেয়েদের!

হ্যাঁ, শিরোনামে একদম ঠিক পড়েছেন। এমন কিছু কথা আছে যেগুলো নিজের প্রেমিক কিংবা স্বামীর মুখে শুনলে মারাত্মক ক্ষেপে ওঠে মেয়েরা। এবং সেটা মনে মনে। আর কে না জানে যে মেয়েদের মনে মনে গোপন রাগ কতটা ভয়ানক? এই কথাগুলো আপনি বলে ফেললে সামনা সামনি তো প্রেমিকা বা স্ত্রী কিছুই বলবেন না আপনাকে, কিন্তু মনে মনে খুব কষ্ট পান। কখনো রাগে ফুঁসতে থাকবেন এবং পরে সেটার শোধ নেবেন সময় বুঝে। তাই প্রেমিক ও স্বামী পুরুষেরা, জেনে নিন কোন কথাগুলো ভুলেও বলবেন না প্রেমিকার সামনে এবং এগুলো শোনার পর মেয়েরা মনে মনে কী ভাবেন!

১)তোমার মনে হয় একটু কম খাওয়া উচিত!
নারীর ভাবনা- তাহলে বলতে চাও আমি বেশী খাই?

২)ওই মেয়েটাকে দেখ, ওর ওই পোশাকে তোমাকে দারুণ দেখাবে!
নারীর ভাবনা- এখন তাহলে আমাকে পাশে নিয়েও অন্য মেয়ে দেখ তুমি?

৩)ওজন বেড়ে যাচ্ছে তোমার।
নারীর ভাবনা- আচ্ছা, এখন তাহলে আমাকে মোটা মনে হয় তোমার!

৪) আজ ফিরতে দেরি হবে। বিরক্ত করো না, কাজ করছি।
নারীর ভাবনা- কাজের নামে আসলে কী করছ তুমি?

৫) আম্মার পছন্দ ছাড়া আমি বিয়ে করবো না।
নারীর ভাবনা- তাহলে প্রেম করতে গেলে কেন মামা'স বয়?

৬) এতকিছু কেনার কি আসলেই দরকার আছে?
নারীর ভাবনা- কঞ্জুস!

৭) আমার প্রাক্তন প্রেমিকা মেয়েটা খারাপ ছিল না।
নারীর ভাবনা- তাই? তাহলে ওর কাছে থাকলেই পারতে!

৮) তোমার বান্ধবীরা কই?
নারীর ভাবনা- আমাকে এখন ভালো লাগছে না,আমার বান্ধবীদেরও লাগবে?

৯) অমুক বন্ধুর বউটি অনেক ভালো।
নারীর ভাবনা- বন্ধুর বউদের প্রতি তো খুব আগ্রহ দেখা যাচ্ছে!

১০) তোমাকে ভালোই দেখাচ্ছে।
নারীর ভাবনা- তারমানে আমাকে সুন্দর দেখাচ্ছে না!

যে ৬টি কথায় ভেঙে যেতে পারে আপনার প্রেমিকার মন

ভালোবাসার সম্পর্ক খুবই স্পর্শকাতর একটি সম্পর্ক। এটি যেমন দৃঢ়, তেমনই নাজুক! আপনার ছোট্ট অথচ সুন্দর কোনো কাজে প্রিয় মানুষটি অভিভূত হবেন, তেমনি আপনার অসংযত কোনো কথায় ভেঙে যেতে পারে তার মন। আপনি যে কী বললেন, তা হয়তো আপনি খেয়ালই করলেন না, কিন্তু বেখেয়ালে বলা সেই কথাটিই হতে পারে আপনার সম্পর্কে ফাটল ধরার কারণ।
কিছু কথা, কিছু আচরণ দূরে ঠেলে দিতে পারে আপনার মনের মানুষটিকে। তাই ভুলেও এমন কোনো আচরণ করবেন না বা কথা বলবেন না আপনার প্রেমিকার সঙ্গে। নইলে কিন্তু পরে আফসোস করতে হতে পারে।


১. এত খরচ করো!
সাধারণত মেয়েরা একটু টাকাপয়সা বেশিই ব্যয় করে থাকে। যে যেই বিষয়ে শৌখিন সে সেই বিষয়েই অর্থ বেশি ব্যয় করবে - এটাই স্বাভাবিক। যেমন কেউ জুতার প্রতি দুর্বল থাকে, আবার কেউ প্রসাধনীতে খরচ বেশি করে। শখের বিষয়টিতে মেয়েরা একটু বেশিই স্পর্শকাতর থাকে। তাই আপনি যদি এই ব্যাপারে আপনার প্রেমিকাকে খোঁচাখুঁচি বেশি করেন, তাহলে কিন্তু তিনি বেঁকে বসবেন।

২. তুমি ওর মতো না!
মেয়েরা তাদের সঙ্গে অন্য কারো তুলনা করাটা একেবারেই পছন্দ করে না। আর তা যদি হয় আগের প্রেমিকার সঙ্গে, তাহলে তো খবরই আছে! আপনার আগের প্রেমিকা যেমনই হয়ে থাকুন না কেন, এ ব্যাপারে কথা বলতে না যাওয়াটাই ভালো। আর ভুলেও তুলনা করবেন না, নইলে তাকেও হারাতে হতে পারে।

৩. ছেলে বন্ধুদের সাথে এত কী!
প্রেমে একটু আধটু ঈর্ষা থাকতেই পারে, কিন্তু তা যেন মাত্রা ছাড়িয়ে না যায়। আপনার প্রেমিকার বন্ধুদের নিয়ে বেশি সন্দেহ প্রকাশ করবেন না। এতে তো তিনি বিরক্ত হবেনই আপনার ওপর থেকে ভরসাও হারিয়ে ফেলবেন। তখন উল্টো আপনার মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।

৪. 'অমুক' মেয়েটা দেখতে খুব সুন্দর!
এ কথা প্রেমিকের মুখে শুনলে যেকোনো মেয়ে মন খারাপ করবেই। একটি মেয়ে চায় তার প্রেমিকের কাছে সবচেয়ে বেশি সুন্দর দেখাতে। প্রেমিকার সামনে অন্য কোনো মেয়ের রূপের প্রশংসা করবেন না। সে যদি সিনেমার নায়িকাও হয়, তবুও না। নইলে কিন্তু কুরুক্ষেত্র বেঁধে যেতে পারে!

৫. তোমাকে ভালো দেখাচ্ছে না!
একটি মানুষকে প্রতিদিনই একই রকম দেখাবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার প্রেমিকাকে যদি একদিন ভালো না দেখায় সেটা তাকে বলার দরকার নেই। আর তিনি যদি বার বার 'কেমন দেখাচ্ছে আমাকে' জিজ্ঞেস করতে থাকেন তাহলে সরাসরি জবাব না দিয়ে একটু ঘুরিয়ে জবাব দিন। তবে সরাসরি নেতিবাচক কথা কোনোভাবেই বলবেন না। এতে তিনি মনে কষ্ট পাবেন অবশ্যই।

৬. তুমি কি আগেরজনকে বেশি ভালোবাসতে?
অতীত কম বেশি প্রায় সবারই থাকে। অতীত ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগোনোই ভালো। তাই আপনার প্রেমিকাকে তার আগের প্রেমিক সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে বিব্রত করবেন না। এতে কিন্তু খারাপ প্রভাব পড়বে আপনার সম্পর্কেই।

যে ৫টি কাজ প্রেমিকের সবচাইতে বেশী পছন্দের

কথায় বলে, মেয়ে মানুষের মন বোঝা বড় দায়। আবার, মেয়েরা কী পছন্দ করেন, কী অপছন্দ করেন তাও নাকি বোঝা যায় না। কথাটি কিছুটা হলেও সত্যি। সত্যিকার অর্থে মেয়েরা অনেক কিছু নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে থাকেন, যা খুব সহজে বোঝা যায় না।

ছেলেদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি কিন্তু তেমন নয়। ছেলেরা অনেক কথাই বলে ফেলেন। তবে তারাও কিন্তু কিছু কথা লুকিয়ে থাকেন। আপনার করা কিছু কাজ যা আপনার প্রেমিক অনেক পছন্দ করেন এবং তিনি চান আপনি এই কাজগুলো করুন। তবে, তা প্রকাশ করতে তিনি নারাজ। জানতে চান কী সেই কাজগুলো?


তিনি আপনার হাসিমাখা মুখ দেখতে ভালোবাসেন
একজন সত্যিকারের প্রেমিকের কাছে সব চাইতে মধুর সময় হলো যখন তার প্রেমিকা মন খুলে হাসেন। একজন প্রেমিক কখনোই তার প্রেমিকার ভার, বেদনামাখা মুখ দেখতে পছন্দ করেন না। কারণ, প্রেমিকা যে কারণেই মন খারাপ করে থাকুন না কেন, প্রেমিক বেচারা ভাবতে থাকেন তার কারণেই প্রেমিকা মন খারাপ করে আছেন। এই চিন্তা পরিণত হয় দুশ্চিন্তায়। তাই প্রেমিকের সামনে একটু মধুর হাসি দিয়ে দেখুন, তিনিও খুশি হয়ে যাবেন।

আপনার তার প্রতি মমতা সবচাইতে বেশি পছন্দের
একজন ছেলে তার প্রেমিকা যাকে তিনি নিজের ভবিষ্যৎ স্ত্রী হিসেবে দেখেন তার মধ্যে নিজের মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে থাকেন। সেকারণে প্রেমিকার একটু কেয়ার নেয়া, মায়া করা এবং মমতা মাখা কণ্ঠে খোঁজ খবর করা প্রেমিক পুরুষটির কাছে অনেক বেশি প্রিয়। তারা নিজেকে অনেক বেশি ভাগ্যবান মনে করেন এইধরনের প্রেমিকা পেলে।

আপনার মনোযোগ দিয়ে কথা শোনা
মেয়েরা স্বভাবতই একটু বেশি কথা বলে থাকেন। এবং চান তার প্রেমিক কথাগুলো শুনুক। এই ব্যাপারটি কিন্তু ছেলেরাও চান। যখন অনেক বেশি খারাপ সময় কাটে কিংবা অনেক বেশি আবেগ কাজ করে ছেলেদের মধ্যে, তারা চান তার প্রেমিকা চুপ করে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুক। এবং আপনার যদি এই গুনটি থাকে তবে জেনে রাখুন, আপনার প্রেমিক আপনার এই গুনটির জন্য অনেক সম্মান করেন।


কাজের ব্যস্ততা থাকলেও প্রেমিককে একটু মনে করা
একজন প্রেমিকা যেমন চান শত ব্যস্ততার মধ্যেও তার প্রেমিক তার কথা মনে রাখুন এবং অন্য কিছু না হোক ১ টি মিনিট সময় বের করে একটি মেসেজ করুন, ঠিক তেমনই একটি প্রেমিকও প্রেমিকার কাছ থেকে একই জিনিস আশা করেন। তিনি কখনো বলবেন না, কিন্তু আপনি কাজের ফাঁকে একটি মেসেজ পাঠিয়ে দিলে ঠিকই তার মুখে হাসি ফুটে উঠবে।

তার জন্য টুকটাক কিছু রান্না করে নিয়ে যাওয়া
ছেলেদের মনে রাস্তা পেটের থেকে শুরু হয় বলে প্রবাদ রয়েছে। কথাটি কিছুটা হলেও সত্যি। ছেলেরা চান তার প্রেমিকা নিজের হাতে কিছু না কিছু রান্না করে তার জন্য নিয়ে আসুন। বিয়ের আগে থেকেই প্রেমিকার রান্না খাওয়া অনেক প্রেমিকের পছন্দের একটি কাজ। এবং আপনার এই পরিশ্রমের মূল্য তিনি জানেন।

যে বিষয়ে মেয়েদের সামনে মুখ খোলা উচিত নয়

নারীদের মনে কি আছে সেটা যে রকম পুরুষরা জানতে বেশ আগ্রহী ঠিক সে রকমই পুরুষদের মনের কড়া নাড়তেও আগ্রহ কমনয় মেয়েদের৷ কিন্তু অনেক পুরুষই তাদের মনের কথা মন খুলে বলতে পারেন না মেয়েদের৷ কিছু কথা রাখতে চান তাদের মনের একদম গভীরে৷ তাই খুব স্বভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন আসে যে কি এমন বিষয়আছে যেগুলো তারা গোপন রাখতে চান? আমরা নিয়ে এলাম তার কিছু সন্ধান৷

১) পুরুষরা কোনো বিষয়ের একেবারে খুঁটিনাটি সব ঘটনা শুনতে খুবই অপছন্দ করেন। শুধুমাত্র মূল কথাতেই তাদের আগ্রহ বেশি থাকে তাদের। অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা একেবারেই পছন্দ করেন না তারা। কিন্তু সমস্যা হল, এই বিষয়টি নিয়ে তাদের নারী সঙ্গীকে বলতেও পারেন না তারা মুখ ফুটে।

২) খুব বেশি ভারি মেকআপে নিজের নারী সঙ্গীকে কখনোই পছন্দ করেন না কোন পুরুষই। তার সঙ্গে দেখা করতে যাবার জন্য অতিরিক্ত সাজের কোনও দরকার নেই৷ তাই পার্লারে গিয়ে অযথা টাকা নষ্ট করাও তারা বেশ অপছন্দ করেন। কিন্তু এই কথাটি কখনোই তাদের সঙ্গীকে বলে উঠতে পারেন না তারা।

৩) নারী সঙ্গীর উপর একটা বিশেষ কারণে প্রায়ই মনে মনে বেশ রেগে থাকেন পুরুষরা। আর তার কারণ হলো বন্ধুদের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যাওয়াটা। কিন্তু খুব বিরক্ত হলেও এই কথাটি কখনোই নারীটিকে মুখ ফুটে বলেন না তারা।

৪) স্ত্রী বাপের বাড়িতে বেড়াতে গেলে কিংবা বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে গেলে পুরুষরা যতোই রাগ দেখাক না কেন মনে মনে কিন্তু বেশ খুশিই হয়ে যান। আর তারকারণ হল পুরুষরা একান্ত ব্যক্তিগত কিছু সময় উপভোগ করতে পারেন। যদিও এই ব্যাপারটি ভুলেও সঙ্গীকে বলেন না তারা।

৫) পুরুষরাও মাঝে মাঝে প্রশংসা পেতে চান মনে মনে। একটু সেজেগুজে আসার পর সঙ্গীর কাছ থেকে একটু প্রশংসা পাওয়ারআশা করেন তারা। কিন্তু প্রশংসা না পেলেও বিষয়টি কখনোই মুখ ফুটে প্রকাশ করেন না তারা। মনের দুঃখ মনেই রেখে দেন।

৬) রাস্তায় চলার সময়ে সুন্দর মেয়ে দেখলে পুরুষরা তাকাবেনই। এটা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু সঙ্গীর সামনে একথা ভুলেও স্বীকার করেন না তারা।

৭) মাঝে মাঝে পুরানো প্রেমিকার সঙ্গেফেসবুকে টুকটাক কথা বলার কথা ভুলেও সঙ্গীকে বলেন না পুরুষরা।

৮) ফোন কিংবা পাসওয়ার্ড, দুটির একটিও নারী সঙ্গীকে দিতে পছন্দ করেন না পুরুষরা। আর সেটা নিয়ে তার সঙ্গীটি অতিরিক্ত আগ্রহ দেখালে তারা বেশ বিরক্ত হন৷ কিন্তু বিষয়টি কখনোই সঙ্গীকে মুখ ফুটে বলা হয় না তাদের।

৯) সঙ্গীর কোন উপহার পছন্দ হয়েছে আর কোনটা হয়নি সেটা পুরুষরা বেশ ভালো করেই বোঝেন। বিষয়টি নিয়ে মন খারাপ হলেও কখনোই কিছু বলেন না তারা

ভালবাসা সম্পর্কিত সত্য ৭ টি কথা !

১. কারো চোখ, বা ঠোঁট কিংবা সুগঠিত শরীর এর কারনে ভালো লাগে
-তবে টা ভালবাসা নয়, বাছাই করা…

২. কারো বুদ্ধিমত্তা বা জীবনের দূরদর্শিতা থেকে কাউকে ভালো লাগে
-তবে তা ভালবাসা নয়, প্রশংসা মাত্র…

৩. কারো অর্থ-সম্পত্তি দেখে কাউকে ভালো লাগে
-তবে তা ভালবাসা নয়, লোভ…

৪. কেউ ছেড়ে যেতে চাচ্ছে বলে অপরজন সবসময় কাঁদে
-তবে তা ভালবাসা নয়, করুণা…

৫. মনঃবাসনা পূরণের জন্য কাউকে দরকার হলে
-তবে সেটা ভালবাসা না, লালসা…

৬. যদি এটা ঘুমাতে, খেতে কিংবা পড়তে ভুলিয়ে দেয়
-তবে তা ভালবাসা নয় মোহ…

৭. আপনি জানেন না কেন তবু ওই মানুষটাকেভালো লাগে
-তবে সেটাই ভালবাসা…

ভালবাসতে কেবল একটি কারন লাগে আর তা হল অজানা.

যে কৌশলে বন্ধুকে জানাবেন ভালোবাসার কথা!

বন্ধুত্বের সম্পর্কটা কখনো কখনো একটু বেশিই গভীর হয়ে যায়। তখন সম্পর্কটা আর বন্ধুত্বের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে না, ধীরে ধীরে তা ভালোবাসায় রূপ নেয়। কিন্তু ভালোবাসার কথাগুলো বন্ধুকে বলাটাও এতো সহজ না। কারণ এতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বন্ধুত্বের সম্পর্কটি। তাই বন্ধুকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জেনে নিন বন্ধুকে ভালোবাসার কথা জানানোর কিছু কৌশল সম্পর্কে।


বন্ধুদের সাহায্য নিন
আপনার বন্ধুটিকে ভালোবাসার কথা জানানোর জন্য সবচাইতে ভালো উপায় হতে পারে আপনাদের দুজনের বন্ধুরা। বন্ধুদেরকে বলে দিন আপনার পছন্দের মানুষটির কাছে আপনার সম্পর্কে আলাপ করতে। তাদেরকে বলতে বলুন যে তারা ধারণা করছেন যে আপনি আপনার বন্ধুর প্রেমে পড়েছেন। এই কথায় আপনার পছন্দের মানুষটি যদি ইতিবাচক সাড়া দেয় তাহলে তাকে ভালোবাসার কথা জানানোর সাহস করুন। আর যদি আপনার বন্ধুর সাড়া নেতিবাচক হয় তাহলে ভুলেও চট করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার সাহস করা ঠিক হবে না।

মনের কথা প্রকাশ হয় এমন গান শুনতে দিন
বন্ধুদেরকে কত গানই তো শুনতে বলি আমরা। আপনি যে মানুষটিকে ভালোবেসে ফেলেছেন তাকে সুন্দর সুন্দর রোমান্টিক গান শুনতে দিন। যে গানের কথাগুলো আপনার মনের অবস্থার সাথে মিলে যায় সেই গানগুলো শুনতে দিন বন্ধুকে। এতে আপনার বন্ধু কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারবেন আপনার মনের অবস্থা। আর যদি সে এতে বিরক্ত হয় তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার মনের অবস্থা বোঝার পড়ে সে বিষয়টি নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট।


গল্পের ছলে ইঙ্গিত দিন
আড্ডা দেয়ার ছলে মাঝে মাঝে কিছুটা ইঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করুন। গল্প করার ফাকে ফাজলামো করে ভালোবাসার প্রকাশ করতে পারেন। হাসি ঠাট্টা করে বললে বিষয়টি খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না সম্পর্কে। আর যদি আপনার বন্ধুটিও আপনার ব্যাপারে আগ্রহী হয় তাহলে সেও সবসময়েই সাড়া দেবে আপনার ভালোবাসার কথায়।

কৌশলী উপহার দিন
আপনার বন্ধুটিকে কিছুটা কৌশলী উপহার দিন। হার্ট ধরে রাখা টেডিবিয়ার, সুন্দর একটি হার্ট শেপের মগ, হার্ট শেপের চকলেট, পারফিউম ইত্যাদি হতে পারে ভালোবাসা প্রকাশের জন্য উপযুক্ত উপহার। আপনার বন্ধুটিকে মাঝে মাঝেই এধরণের উপহার দিয়ে চমকে দিন। এতে আপনার বন্ধুটি আপনার মনের অবস্থা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারবেন।

নারীর দৃষ্টি আকর্ষণে পুরুষকে যা করতে হবে

কিছু পুরুষালি গুণ নারীকে আকর্ষণ করে, পুরুষের
প্রতি দুর্বল করে তোলে। তা সব সময় উচ্চতা,
গায়ের রং বা বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়। কাঙ্ক্ষিত
পুরুষের মাঝে আরও বিশেষ কিছু খোঁজেন তাঁরা।
বিষয়টা পুরোপুরিই মনো-দৈহিক। শরীর
তো আছেই, সঙ্গে অবশ্যই থাকতে হবে আবেগ-
অনুভূতিও।

নারীর হৃদয় জয়ে সফল হতে হলে এসব
পুরুষালি গুণের চর্চায় মনোযোগী হতে পারেন।

পড়ুন এমন কিছু গুণের কথা—

ফিটফাট থাকুন
নারীরা দীর্ঘদেহী পুরুষ পছন্দ করেন বটে,
তবে উচ্চতাই শেষ কথা নয়। গুরুত্বপূর্ণ
হলো আপনি কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন
করছেন। আসল বিষয় হলো নারী বুঝতে চায়
আপনি নিজের যত্ন নিতে, ফিটফাট
থাকতে পারছেন কি না। তাঁরা ভাবেন, যে পুরুষ
নিজের দেখভাল করতে পারেন না, তিনি আমার
দেখভাল করবেন কী করে?
সুতরাং, আলুথালু পোশাক, এলোমেলো চুল, নখ
না কাটা বা ময়লা থাকা, মোজায় গন্ধ,
ময়লা শার্ট বা জিনসের উদাসীনতার দিন শেষ।
হালের নারীরা এসব একেবারেই পছন্দ করেন না।
নারীর মন পেতে হলে এসব
খামখেয়ালিপনা আজই ছাড়ুন।

নিজের রুচি তুলে ধরুন
দামি ব্র্যান্ডের জামা-
জুতো হতে হবে বিষয়টা মোটেও এমন নয়। আর
যদি একটার সঙ্গে বেমানান আরেকটা এই
ব্র্যান্ডের শার্ট, ওই ব্র্যান্ডের জুতো, সেই
ব্র্যান্ডের জিনস হয়
তাহলে তা আপনাকে দেখেই
দৌড়ে পালাতে পারে যে কেউ। তাই সাধারণ
দোকান থেকে কেনা হলেও পোশাকে-
আশাকে নিজের রুচি পছন্দটা তুলে ধরুন। আর
খেয়াল রাখুন তা যেন আপনার শারীরিক গড়ন আর
গায়ের রঙের সঙ্গে মানানসই হয়। নিজের
একটা স্টাইল গড়ে তুলুন।
আপনাকে বুঝতে হবে, আপনি যেমন নারীদের
‘সন্ন্যাসিনী’ সেজে থাকা পছন্দ করেন না, ঠিক
তেমনি আধুনিক নারীরাও ‘অফিস টাইপ’
পোশাকের পুরুষদের পছন্দ করেন না।

মুখে হাসি ফোটান
রসবোধ থাকাটা যে কারও জন্যই উঁচুমানের গুণ
হিসেবে বিবেচিত হয়। কাঙ্ক্ষিত পুরুষের
চরিত্রে নারীরা এটা খোঁজেন। প্রাত্যহিক
জীবনে এমনিতেই বহু ঝুট-ঝামেলা নিয়ে ত্যক্ত-
বিরক্ত হয়ে থাকার মতো যথেষ্টই কারণ
থাকে নারীদের। তাই একজন মনমরা টাইপ
সঙ্গী তাঁদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তাই
নিজে হাসুন, তাঁর মুখেও হাসি ফোটান।
তবে খেয়াল রাখতে হবে ঠাট্টা-
তামাশা করতে গিয়ে সব সময়ই অন্য
কাউকে খাটো করা, আঘাত করা মোটেই কাজের
কথা না। অনেক নারীই এটা রীতিমতো অপছন্দ
করেন। আর যে পুরুষ হাসিমুখে নিজের ভুল স্বীকার
করতে পারেন, নিজেকে নিজেই
মশকরা করতে পারেন, তাঁর প্রতি নারীদের
আকর্ষণ কতটা তীব্র সে বিষয়ে আমরা কিছু বলব
না, আপনি নিজেই তা পরীক্ষা করে দেখুন।

তাঁকে বুঝতে দিন যে আপনি যত্নবান
নারীরা সব সময়ই বারবারই এটা নিশ্চিত
হতে চান যে তাঁকে কেউ ভালোবাসছেন, তাঁর
খেয়াল রাখছেন। তাঁর হাত ধরে হাঁটা, সুযোগ
পেলে একসঙ্গে সূর্যাস্ত দেখা—হোক
তা বারান্দায় দুই মিনিটের জন্য, মাঝেমধ্যেই
জড়িয়ে ধরা, রাস্তা পেরোনোর সময় তাঁর খেয়াল
রাখার মতো কাজগুলোকে মোটেই
অবহেলা করবেন না। আপনার এসব ছোট ছোট
অভ্যাস থেকে অনেক কিছুই বোঝা যায়।
কখনো কখনো রাস্তায়, বেড়াতে গিয়ে সবার
সামনে তাঁর হাত
ধরে হাঁটা মানে আপনি তাঁকে নিয়ে গর্বিত।
তবে এ চর্চা যেন হয় জড়তাহীন, সাবলীল আর
আতিশয্য বর্জিত।

ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই
তাঁর চোখে চোখ রেখে তাকান।
মিষ্টি করে একবার হাসুন। ভালোবাসার
চোখে সরাসরি তাঁর চোখে তাকালে একজন
নারী যে অনুভূতি পান তার তুলনা করা দুষ্কর।
আপনার ওই চাহনিতে নিজেকে লাখে একজন
মনে হতে পারে তাঁর। আর মাঝেমধ্যেই
চোখে চোখ রেখে তাকানোটা জরুরি। কেননা,
অনেক কথায় যা হয় না, চোখের ভাষায়
সেটা বলা হয়ে যেতে পারে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.