ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর কৌশল

একজন রুচিশীল মানুষের ঘর সবসময় পরিপাটি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এটাও ঠিক, সবসময় সব রুম গুছিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। কর্মব্যস্ততার জীবনে তো আরও দুষ্কর। অথচ ঘরে জমে থাকা ধুলা ময়লা হতে পারে আপনার অ্যালার্জির কারণ। তাই সামান্য সতর্কতায় পারে কষ্টকে দূরে রাখতে।
- বাসায় না থাকলে দরজা- জানালা খোলা না রাখাই ভালো। এতে ঘরের মেঝে বা আসবাব পত্রেও ময়লার স্তর পড়া থেকে রক্ষা পাবেন। জানালা খোলা রাখলেও অবশ্যই পর্দা ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে মোটা পর্দা ব্যবহার করলে বাতাসে উড়ে যাবে না।

- ঘরের মেঝেতে ব্যবহৃত কার্পেটেও ময়লা জমে। নিয়মিত পরিস্কার না করলে ময়লা জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাই কার্পেট পরিস্কারের জন্যে ব্রাশ ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্রাশ দিয়ে কার্পেট পরিস্কার করলে ধুলো ময়লা জমার সুযোগ পাবে না।

- আসবাব পত্রে ধুলোবালি জমে থাকলে, সেগুলো অনেকেই ভেজা কাপড় দিয়ে পরিস্কার করে থাকেন। এটা একদমই ঠিক নয়। কারণ ভেজা কাপড় দিয়ে আসবাবপত্র পরিস্কার করলে তার রং নষ্ট হয়ে যায় সহজেই। এজন্যে ডাস্টিং ব্রাশ ব্যবহার করা ভালো।

- শোপিস কিংবা কাঁচের অন্যান্য জিনিসপত্র মোছার জন্যে বাজারে বিভিন্ন প্রকার ক্লিনার পাওয়া যায়। এগুলো দিয়ে মুছে নিলে শোপিস অনেক দিন ধরে পরিস্কার থাকে।

- ঘর সাজানোর জন্য কৃত্রিম ফুল বা ফুলের গাছ রাখা হয়। এতে জমে থাকা ধুলো ময়লা প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন পরিস্কার করতে হবে। এজন্য শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে এগুলো ধুতে পারেন। এরপর পানি ঝরিয়ে আবার ব্যবহার করতে পারবেন।

- টেলিভিশনের স্ক্রিন, কম্পিউটার, রেফ্রিজারেটর, প্রিন্টার বা বইয়ের আলমারি সবসময় শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। তবে সাবধানতার সঙ্গে ডিটারজেন্টে গোলানো পানি ব্যবহার করতে পারেন।

Labels:



comment closed

Blogger দ্বারা পরিচালিত.