ভালোথাকার কিছু সুত্র

অংকে সঠিক উত্তর পেতে যেমন সূত্র জানতে হয়, তেমনি ভালো থাকতে চাইলেও মেনে চলতে হয় কিছু সূত্র। অনেক চেষ্টা করেও কেন জানি ভালো থাকতে পারি না আমরা। অফিসে কাজের চাপ, বাড়িতে হাজারো হিসাব, ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন - সব কিছু ঠিক রাখার চাপ আমাদের পুরো সত্তাটাকেই অসুখী করে রাখে। এই ঘরে-বাইরের টানাপোড়েনেও নিজেকে খুশি রাখা এখন কোনো শিল্পের চেয়ে কম কঠিন নয়। তাই জেনে নিন ভালো থাকার ৬টি সূত্র।

১. থাকুন ফিট
মানের আনন্দের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হলো শারীরিক সুস্থতা। শরীর ফিট না থাকলে কোনো কিছুতেই ভালো লাগা খুঁজে পাবেন না। সবকিছু ঠিক রাখার জন্য আপনাকে থাকতে হবে সুস্থ। হালকা ব্যায়াম আর লো ক্যালরি খাবারের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এছাড়া বছরে অন্তত দু বার এন্ডোক্রিনোলজিস্টের সাথে কনসাল্ট করে হরমোনের লেভেল পরীক্ষা করিয়ে নিন। কারণ অবসাদ বা আনন্দ অনেকটাই নির্ভর করে হরমোনের ওপর। তাই হরমোনের লেভেল পরীক্ষা করা জরুরি। মনকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ কঠিন কাজ। তার চেয়ে বরং শরীরটাকে একটু নিয়ন্ত্রণ করুন। এতে মনও অনেকটা ভালো থাকবে।

২. ছোট ছোট লক্ষ্য
অবাস্তব লক্ষ্যের দিকে ছুটে মরবেন না। বরং সহজসাধ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেটা পূরণ করার চেষ্টা করুন। এতে হতাশা কম হবে। আপনাকে সবচেয়ে বেশি চেনেন আপনি নিজেই। তাই সাধ আর সাধ্যের মধ্যকার দূরত্বটা বুঝতে হবে আপনাকেই। আশানুরূপ সাফল্য না পেলে তার মানে এই নয় যে আপনি একজন ব্যর্থ মানুষ। অন্যে কী সাফল্য পেল তা না ভেবে নিজের দিকে তাকান।

৩. অতিরিক্ত ভবিষ্যতের চিন্তা করবেন না
একটা সব সময় মনে রাখা উচিত যে, হাজার পরিকল্পনা সত্ত্বেও ভবিষ্যত সব সময়ই অনিশ্চিত। ভালো করে খেয়াল করে দেখুন, কত ধরনের ভালো লাগা, কত মূল্যবান মুহূর্ত আপনার জীবনকে ঘিরে রেখেছে। ভবিষ্যতের কথা বেশি ভাবলে অনেক সময়ই ছোট-ছোট প্রাপ্তিগুলো আমাদের নজর এড়িয়ে যায়। পরে কী হবে না ভেবে বর্তমানের সুন্দর অনুভূতিগুলোকে হেলাফেলা করবেন না।

৪. নিজেকে সময় দিন
যতই কাজের ব্যস্ততা থাকুক না কেন, নিজের ভালো লাগার কাজগুলোর জন্য সময় বের করুন। বাগান করুন, গান শুনুন, বই পড়ুন, মাঝে মাঝে বেড়াতে যান এদিক-ওদিক। নিজেকে সময় না দিলে কিন্তু আর সবকিছুর চাপ সামলানোর শক্তিটুকুও পাবেন না।

৫. কাঁদতে শিখুন
খুশি থাকতে চাওয়া মানে কিন্তু কষ্টকে জোর করে চেপে রাখা নয়। মুখে মেকি হাসি ঝুলিয়ে রাখলেই সুখী হওয়া যায় না। ভালো করে কাঁদতে শিখুন। কান্না হলো এক ধরনের ডি-টক্সিফিকেশন প্রসেস। কান্নার মাধ্যমে লুকিয়ে থাকা ভয় আর দুঃখ জাতীয় নেতিবাচক আবেগ একসাথে বের করে দেয়া হয়। এর ফলে নানা সমস্যার ভারে ভারাক্রান্ত মানুষ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। খুব খারাপ লাগলে মাঝে মাঝে একটু কেঁদে নিন, মন বেশ হালকা হয়ে যাবে।

Labels:



comment closed

Blogger দ্বারা পরিচালিত.