অনেকেই বলেন ‘ভালোবাসার অনুভূতি কেমন, প্রেমে পড়ার অনুভূতি কি ধরণের’। আবার অনেকে বলেন, ‘প্রেমে পড়লেই কি ছেলেমানুষের মতো ব্যবহার করতে হবে’। কিন্তু আসলে জানা থাকে না যে প্রেমের পড়ার ফলে যে অনুভূতির সৃষ্টি হয় তা-ই ছেলেমানুষি কাজ করায়। সত্যিকার অর্থেই প্রেমে পড়ার ফলে মনের মধ্যে অন্য ধরণের অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আপনি হয়তো কখনোই জানতেন না আপনার মধ্যে এই ধরণের অনুভূতি রয়েছে যা প্রেমে পড়ার পর টের পাওয়া যায়। সত্যিকার অর্থেই যদি আপনি প্রেমে পড়ে থাকেন তাহলে নিজের মধ্যে অনুভব করতে পারবেন এই বিশেষ এবং নতুন অনুভূতিগুলো।

১) অনেক কিছু করে ফেলতে পারার অনুভূতি
সত্যিকারের প্রেমে পড়লে এক ধরণের দিগ্বিজয়ী অনুভূতির জন্ম নেয়। যেনো সেই প্রেমটিকে ঘিরে সব কিছু করে ফেলা সম্ভব, সব বাঁধা পার করা সম্ভব। আপনি হয়তো জানতেনই না আপনার মধ্যে এতো স্পৃহা লুকিয়ে আছে।

২) হারিয়ে ফেলার ভয়
প্রেমে পড়লে সঙ্গীকে নিয়ে যে নতুন অনুভূতির সৃষ্টি হয় তা হচ্ছে হারিয়ে ফেলার বয়। এই ভয়ের কারণেই উদ্ভট অনেক কিছু করে ফেলেন প্রেমিক প্রেমিকারা।

৩) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
আগে হয়তো কোনো কিছু নিয়েই চিন্তা লাগতো না, কিন্তু প্রেমে পড়ার পর মনের মানুষটির সাধারণ ফোন না ধরার বিষয়টি অনেক বেশি দুশ্চিন্তার জন্ম দেয়, অনুভব করা যায় অনেক বেশি উদ্বেগ।

৪) অনেক বেশি ঈর্ষান্বিত হয়ে যাওয়ার অনুভূতি
প্রেমে না পড়লে আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না আপনার মধ্যে কতোটা ঈর্ষা বা হিংসা লুকিয়ে রয়েছে। মনের মানুষটি অন্য কারো সাথে হেসে কথা বললেই যেনো এই লুকোনো অনুভূতিতে খোঁচা লেগে যায়।

৫) দ্বিধায় পড়ে যাওয়া
কি করলে ভালো হবে এই জিনিসটি নিয়ে ভাবা বা কোনো কিছু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি যে এতোটা কঠিন তা প্রেমে পড়ার আগে টের পাওয়া যায় না একেবারেই। অনেক বেশি দ্বিধার সৃষ্টি হয় মনে।

৬) অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক কষ্ট
ছোটোখাটো বিষয় যা অন্য কেউ করলে যা পাত্তা দেয়ারই কথা নয় সেই ছোটো বিষয়টি মনের মানুষটি করলে কি পরিমাণে কষ্ট পাওয়া যায় তা প্রেমে পড়লেই টের পাওয়া সম্ভব। কারণ প্রেম মনের মধ্যে জন্ম দেয় অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক কষ্টের অনুভূতি।

৭) অবহেলার ভয়
সব সময় মনের মধ্যে ভয়ের অনুভূতি পাওয়া যায় প্রেমে পড়লে। অনুভূতি একেবারে অমূলক নয়। কারণ মনে হতে থাকে কখন যেনো মনের মানুষটির কাছ থেকে অবহেলা পাওয়া হয়ে যায়।

৮) অতিরিক্ত কিন্তু সত্যিকারের আশা
প্রেম মনে মধ্যে একধরণের অতিরিক্ত আশার অনুভূতির জন্ম দেয়। আশাটি অতিরিক্ত কিন্তু মিথ্যে কিছু নয়। প্রেমে পড়লে মনের মানুষটির কাছে অতিরিক্ত আশা করাটা আপনাআপনিই এসে যায়।
আমাদের দেশে একটি ভালো চাকরী খুঁজে পেতেই ৩০ বছর বয়স পার হয়ে যায়। সেখানে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ধনী হয়ে যাওয়া একটু অসাধ্য সাধনই বটে। অনেকের মতে বাবা/মামা/চাচার জোর না থাকলে একটি অসম্ভব একটি কাজ। কিন্তু আসলেই কিন্তু তা নয়। আমাদের অনেকের সমস্যা আমরা একসাথে একের অধিক দিকে ভাবতে পারি না।

এবং আমাদের মনের ভেতর কোনো কিছু একবার ঢুকে গেলে তার পেছনে ছুটে সময় পার করে দিই। এই কাজটি করা উচিত নয়। সব দিক বুঝে, নিজের জন্য ভালো বেশ কয়েকটি পথ খুলে নিলেই কিন্তু এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় খুব সহজে।

১) একদিক লক্ষ্য করে ছুটবেন না:
অনেকেই রয়েছেন যারা সরকারী চাকুরীর পেছনে হন্যে হয়ে ছুটতে থাকেন বা একদিক লক্ষ্য করে তা না পাওয়া পর্যন্ত তার পেছনে ছুটে চলেন। এই কাজটি করবেন না। একদিক লক্ষ্য করে ছুটতে যাবেন না। একটি স্থানে নিজেকে কিছুটা সেট করে নিয়ে নিজের স্বপ্নের পেছনে ছুটতে পারেন। অর্থাৎ কোনো একটি চাকুরীতে ঢুকে নিয়ে তবে সরকারী বা তার চাইতে বড় কোনো স্থানের চাকরী খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যান।

২) অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজুন:
শুধুমাত্র একটি চাকুরীর আশায় বসে থেকে ভাববেন না আপনি ধনী হয়ে যাবেন। চাকরির পাশাপাশি অন্য কিছু করুন। ছোটোখাটো কোনো ব্যবসা খোলার চেষ্টা করুন। নিজের উপার্জনের মাধ্যম বাড়িয়ে নিন ২৫ বছরের পর থেকেই।

৩) প্রতিটি অর্থের হিসেব রাখুন:
কোথায়, কখন, কি কারণে কতোটা অর্থ ব্যয় করছেন তার প্রত্যেকটির হিসাব রাখুন। বেহিসেবি অর্থ ব্যয় করে কখনোই ধনী হওয়া সম্ভব নয়। হয়তো মানুসগ আপনাকে কিপটে বলতে পারেন। কিন্তু তারপরও নিজের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে একটু টিটকারি হজম করে নিন।

৪) ধার বা লোণ না করার চেষ্টা করুন:
যদি প্রতি মাসেই আপনার ধার বা লোণ করে মাস পার করতে হয় তাহলে আপনি কখনোই নিজের উপার্জনের কিছুই রাখতে পারবেন না। মাস শেষে যদি কষ্টও হয় তাহলে একেবারে বিপদে না পড়লে ধার বা লোণ করার অভ্যাস গড়ে তুলবেন না। কারণ এটি এক ধরণের পিছুটানের মতোই কাজ করে।

৫) বুদ্ধি খাটিয়ে ইনভেস্ট করুন:
কোথায় কোন ব্যবসায় ইনভেস্ট করলে লভ্যাংশের কিছু অংশ আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে সে ব্যাপারে নিজেকে তৈরি করে নিন। নিজের বুদ্ধি এবং জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ইনভেস্ট করার চেষ্টা করুন। এবং এমন স্থানে করুন যাতে আপনাকে লসের মুখে পরতে না হয়।

৬) একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করুন:
২৫/৩০/৩৫/৪০ বছর এভাবে করে একটি একটি করে প্ল্যান করে তা পূরণের চেষ্টা করুন। যেমন ২৫ বছর বয়সে এতো বেতনের চাকুরী এবং সেখান থেকে এতো টাকা সঞ্চয়ের লক্ষ্য, ৩০ বছর বয়সে এতো বেতনের চাকুরী বা ব্যবসা শুরু এবং এতো টাকা সঞ্চয়ের লক্ষ্য এভাবে প্ল্যান করে তা পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যান।

৭) সঞ্চয় করুন যতোটা সম্ভব:
প্রতি মাসে যতোটা সম্ভব সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার যদি একটু হিসেব করে ব্যয় করে সঞ্চয়ের অভ্যাস থাকে তাহলে সেই সঞ্চয় ইনভেস্ট করে নিজেকে ধনী করার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন।

৮) অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার পেছনে অর্থ ব্যয় বন্ধ করুন:
অতিরিক্ত এবং অযথা জিনিস কেনার অভ্যাস দূর করে ফেলুন একেবারেই। অনেকেরই দামী মোবাইল বা অন্যান্য অনেক কিছুর শখ থাকে। কিন্তু সেটা পড়ে করলেও চলবে। এখন একটু কষ্ট করে এই অযথা জিনিসগুলো ত্যাগ করে দিলে তা আপনার ভবিষ্যতটাকেই উন্নত করবে।
প্রেমে পড়া মানুষের সহজাত প্রবণতা। আর প্রথম দর্শনে প্রেমের তো তুলনাই চলে না। নারীরা প্রথম দর্শনে এমনি এমনি কোনো পুরুষের প্রেমে পড়েন না। মূলত পুরুষদের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য এবং আচরণের কারণে মেয়েরা প্রথম দর্শনেই তাদের প্রেমে পড়ে যান। এখানে জেনে নিন পুরুষের সেই মনকাড়া বৈশিষ্ট্যের কথা।

১. পোশাক : প্রথম দর্শনে ভালো না লাগার অর্থ এই নয় যে, শেষ দর্শনে কোনো কাজ হবে না। তবে যাই বলুন না কেনো, একজন পুরুষের পোশাক-পরিচ্ছদ যেকোনো নারীকে মুহূর্তে ঘায়েল করতে পারে। স্মার্ট পোশাক রুচিশীল পুরুষের পরিচয় তুলে ধরে। আর প্রথম দর্শনেই এমন পুরুষের প্রেমে কে না পড়তে চান।

২. এলোমেলো সজ্জা : পুরুষদের অদ্ভুত এবং এলোমেলো স্টাইলের দারুণ ভক্ত নারীরা। তাই পরিপাটি নয় এবং রুক্ষ স্টাইলের ছেলেদের প্রেমে প্রথম দর্শনেই পড়ে যান মেয়েরা।

৩. সৌজন্যবোধ : আধুনিক ছেলেদের মাঝে নাকি সৌজন্যবোধ নেই। কিন্তু এ গুণে যে কেউ মুগ্ধ থাকবে। তাই সৌজন্যবোধসম্পন্ন ছেলেদের প্রেমে পড়েন মেয়েরা।

৪. নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ : প্রত্যেকের আত্মসম্মানবোধ রয়েছে। আর এর প্রতি প্রত্যেকের শ্রদ্ধাশীল থাকা ভদ্রতা ও সভ্যতার নামান্তর। নারীরা এমন পুরুষকে পছন্দ করেন যার নারীদের প্রতি শ্রদ্ধবোধ রয়েছে।

৫. আলাপী : আলাপচারিতা এমন এক বিষয় যার মাধ্যমে যেকোনো মানুষের মন জয় করা সম্ভব। পুরুষের আলাপচারিতায় মুগ্ধ হয়ে মেয়েরা নিমিষেই প্রেমে পড়ে যান।

৬. শৌখিন : এ ক্ষেত্রে শৌখিনতা বিলাসিতা নয়। পুরুষের দারুণ কিছু শখ নারীদের হৃদয় হরণ করতে পারে। তাই শখের মাধ্যমে রুচির জানান দেওয়া প্রত্যেক পুরুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৭. দেহের ভাষা : এর মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন যেকোনো মানুষ। কারো অঙ্গভঙ্গির কারণে তাকে ভালো লেগে যাবে আপনার। তাই একটি মেয়ের কাছে পুরুষে দেহের ভাষা বেশ গুরুত্ব রাখে।

৮. মিল : প্রত্যেক মানুষ চান, তার মনের মানুষের সঙ্গে তার মন-মানসিকতা ও রুচিবোধের কিছু মিল থাকবে। বহু নারী প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়েন এসবের সামান্য মিলের কারণে। আর এর মাধ্যমেই গড়ে ওঠে দুজনের রসায়ন।
অংকে সঠিক উত্তর পেতে যেমন সূত্র জানতে হয়, তেমনি ভালো থাকতে চাইলেও মেনে চলতে হয় কিছু সূত্র। অনেক চেষ্টা করেও কেন জানি ভালো থাকতে পারি না আমরা। অফিসে কাজের চাপ, বাড়িতে হাজারো হিসাব, ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন - সব কিছু ঠিক রাখার চাপ আমাদের পুরো সত্তাটাকেই অসুখী করে রাখে। এই ঘরে-বাইরের টানাপোড়েনেও নিজেকে খুশি রাখা এখন কোনো শিল্পের চেয়ে কম কঠিন নয়। তাই জেনে নিন ভালো থাকার ৬টি সূত্র।

১. থাকুন ফিট
মানের আনন্দের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হলো শারীরিক সুস্থতা। শরীর ফিট না থাকলে কোনো কিছুতেই ভালো লাগা খুঁজে পাবেন না। সবকিছু ঠিক রাখার জন্য আপনাকে থাকতে হবে সুস্থ। হালকা ব্যায়াম আর লো ক্যালরি খাবারের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এছাড়া বছরে অন্তত দু বার এন্ডোক্রিনোলজিস্টের সাথে কনসাল্ট করে হরমোনের লেভেল পরীক্ষা করিয়ে নিন। কারণ অবসাদ বা আনন্দ অনেকটাই নির্ভর করে হরমোনের ওপর। তাই হরমোনের লেভেল পরীক্ষা করা জরুরি। মনকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ কঠিন কাজ। তার চেয়ে বরং শরীরটাকে একটু নিয়ন্ত্রণ করুন। এতে মনও অনেকটা ভালো থাকবে।

২. ছোট ছোট লক্ষ্য
অবাস্তব লক্ষ্যের দিকে ছুটে মরবেন না। বরং সহজসাধ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেটা পূরণ করার চেষ্টা করুন। এতে হতাশা কম হবে। আপনাকে সবচেয়ে বেশি চেনেন আপনি নিজেই। তাই সাধ আর সাধ্যের মধ্যকার দূরত্বটা বুঝতে হবে আপনাকেই। আশানুরূপ সাফল্য না পেলে তার মানে এই নয় যে আপনি একজন ব্যর্থ মানুষ। অন্যে কী সাফল্য পেল তা না ভেবে নিজের দিকে তাকান।

৩. অতিরিক্ত ভবিষ্যতের চিন্তা করবেন না
একটা সব সময় মনে রাখা উচিত যে, হাজার পরিকল্পনা সত্ত্বেও ভবিষ্যত সব সময়ই অনিশ্চিত। ভালো করে খেয়াল করে দেখুন, কত ধরনের ভালো লাগা, কত মূল্যবান মুহূর্ত আপনার জীবনকে ঘিরে রেখেছে। ভবিষ্যতের কথা বেশি ভাবলে অনেক সময়ই ছোট-ছোট প্রাপ্তিগুলো আমাদের নজর এড়িয়ে যায়। পরে কী হবে না ভেবে বর্তমানের সুন্দর অনুভূতিগুলোকে হেলাফেলা করবেন না।

৪. নিজেকে সময় দিন
যতই কাজের ব্যস্ততা থাকুক না কেন, নিজের ভালো লাগার কাজগুলোর জন্য সময় বের করুন। বাগান করুন, গান শুনুন, বই পড়ুন, মাঝে মাঝে বেড়াতে যান এদিক-ওদিক। নিজেকে সময় না দিলে কিন্তু আর সবকিছুর চাপ সামলানোর শক্তিটুকুও পাবেন না।

৫. কাঁদতে শিখুন
খুশি থাকতে চাওয়া মানে কিন্তু কষ্টকে জোর করে চেপে রাখা নয়। মুখে মেকি হাসি ঝুলিয়ে রাখলেই সুখী হওয়া যায় না। ভালো করে কাঁদতে শিখুন। কান্না হলো এক ধরনের ডি-টক্সিফিকেশন প্রসেস। কান্নার মাধ্যমে লুকিয়ে থাকা ভয় আর দুঃখ জাতীয় নেতিবাচক আবেগ একসাথে বের করে দেয়া হয়। এর ফলে নানা সমস্যার ভারে ভারাক্রান্ত মানুষ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। খুব খারাপ লাগলে মাঝে মাঝে একটু কেঁদে নিন, মন বেশ হালকা হয়ে যাবে।
মেয়েরা মাঝে মাঝে নিরীহ গলায় বেশ মারাত্মক কিছু প্রশ্ন করে থাকেন যার উত্তর দেয়া আর নিজের পায়ে কুড়োল মারা ছেলেদের জন্য সমান কথা। কারণ এই প্রশ্নগুলো মেয়েরা ইচ্ছে করে ছেলেদের ফাঁদে ফেলে কথা শোনানোর জন্য করে থাকেন। যদিও সকলেই একইরকম নয় এবং সবাই সব প্রশ্ন করেন এমনটিও নয়। তারপরও নিচের এই ৯ টি প্রশ্ন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কম বেশি সব মেয়েরাই তার ভালোবাসার মানুষটিকে করে থাকেন এবং সত্যিকার অর্থেই তাদের ফাঁদে ফেলেন। কারণ প্রশ্নের উত্তর দেয়াও বিপদ না দেয়াও বিপদ।

১) তুমি কি আমাকে পছন্দ করো?
যদিও তিনি জানেন আপনি তাকে পছন্দ করেন, তারপরও নিরীহ গলায় প্রশ্ন করবেন। এখন যদি আপনি বলেন হ্যাঁ তাহলে শুরু হবে নতুন প্রশ্ন। আর না হলে তো যোগাযোগই বন্ধ।

২) তুমি আমাকে কেনো পছন্দ করো?
পছন্দ করেন কি না তা জানার পর যে নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে আপনার তা হচ্ছে কেনো পছন্দ করেন। যদি কোনো কিছু সুন্দর বলেন তবে মেয়েটি বলবেন, ‘শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যই দেখলে’, আর যদি বলেন তুমি অনেক ভালো, তাহলেও গাল ফুলিয়ে বলবেন, ‘আমি কি সুন্দরী নই?’। সুতরাং যাই বলবেন বিপদ আপনার।

৩) তুমি কি কিছু চিন্তা করেছ?
যদি কোনো ব্যাপারে কথা বলার বা সিদ্ধান্ত নেয়ার থেকে থাকে বা আপনি যদি কিছু চিন্তা করেও থাকেন তাও এই প্রশ্নের উওর আপনার জন্য ডেকে আনবে বিপদ। কেনো জানেন? আপনি যদি বলেন হ্যাঁ করেছি, তখন তার বিপরীতে আপনাকে শুনতে হবে ‘এতো চিন্তার কি আছে’। আর যদি বলেন না, করিনি তাহলে আপনি শুনবেন ‘আমার ব্যাপারে তুমি কোনো চিন্তাই করো না’।

৪) তুমি কি আমার বান্ধবীদের পছন্দ করো?
খুব ভয়ানক একটি প্রশ্ন। যদি আপনি বলেন হ্যাঁ করি, তাহলে গাল ফুলিয়ে বলবেন ‘ও! তাই, আমাকে এখন পছন্দ নয়’। আর যদি না বলেন তাহলে ঝগড়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন, কারণ তখন তিনি বলবেন, ‘আমার বান্ধবীরা কি খারাপ?’।

৫) আমাকে কি মোটা দেখাচ্ছে?
যতোটা সম্ভব এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ হ্যাঁ বললে পস্তাবেন আপনি। আবার না বললে একগাদা কথা শুনতে হবে কারণ তার কাছে তাকে মোটা মনে হচ্ছে। আবার হেসে উড়িয়ে দেয়াটাও বিপদ, কারণ তিনি মুখ ভার করে বলবেন ‘আমাকে তুমি দেখোই না’।

৬) তুমি কি আগে আমাকে বেশি ভালোবাসতে নাকি এখন বাসো?
মারাত্মক একটি প্রশ্ন। খুব বুদ্ধি খাটিয়ে এবং পারলে নিজেও একটু ঘুরিয়ে উল্টো প্রশ্ন করে বসুন। নতুবা এই প্রশ্নের উত্তর আপনাদের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থার বারোটা বাজাবে।

৭) তুমি কি কিছু ভুলে যাচ্ছ?
আরেকটি ভয়াবহ প্রশ্ন। মেয়েটির সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত যা ঘটেছে সব কিছু খুঁটিয়ে মনে করার সময় চলে এসেছে। কারণ যদি আসলেই কিছু ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে রক্ষা নেই।

৮) আমাকে কি একটু অন্যরকম দেখাচ্ছে?
প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টাই করবেন না। হেসে বলুন ‘আমার কাছে তুমি সব সময়েই অন্যরকম অসাধারণ’। কারণ যদি উত্তর ভুল হয় তাহলে কপালে দুঃখ আছে, আর যদি উত্তর দিতে না পারেন তবে শুনবেন ‘আমার দিকে আজক পর্যন্ত ভালো করে তাকিয়েছ কখনো?’।

৯) আমি কি বলি তা কি তোমার মনেই থাকে না?
যদি বলেন মনে আছে তাহলে গোঁ ধরে বসে যাবেন কি কি মনে আছে তা শোনার জন্য। আর যদি বলেন মনে নেই তাহলে যুদ্ধ শুরু। সুতরাং পড়ে গিয়েছেন ফাঁদে।
সাধারণত আমরা বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রেই দেখি ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের গলার স্বর মিষ্টি, সুরেলা ও চিকন হয়ে থাকে। যা ছেলেদের কণ্ঠে আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম শুনি। ছোট ছেলেমেয়েদের গলার স্বরে কোনো তফাত সাধারণত বোঝা যায় না। বয়ঃসন্ধির সময় থেকে ছেলেদের গলার স্বর ভারি, গম্ভীর হতে থাকে। প্রথমে গলার স্বর ভাঙে, পার আস্তে আস্তে গভীর,তারপর গম্ভীর হয়ে যায়।
মেয়েদের গলার স্বর কিন্তু বে…শি পাল্টায় না। কিন্তু ছেলেদের স্বর পাল্টায় কেন? আমরা স্বরযন্ত্রের সাহায্যে কথা বলি। স্বরযন্ত্রের মধ্যে আছে স্বরপর্দা, এদের কম্পনের ফলে বায়ু তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। এই বায়ু তরঙ্গই শব্দ বা স্বরের সৃষ্টি করে।

কণ্ঠস্বরের মিষ্টতা, শব্দের এক বিশেষ ধর্মের ওপর নির্ভরশীল, একে বলে তীক্ষ্নতা। তীক্ষ্নতা আবার নির্ভর করে শব্দ কম্পনের ওপর। বয়ঃসন্ধির সময়ে ছেলেদের শরীরে এক বিশেষ ধরনের হরমোন বেরোয় যার নাম অ্যান্ড্রোজন।

সব পুরুষালি বৈশিষ্ট্য যেমন-দাড়ি, গোঁফ গজানো, গলার স্বর ভারি হওয়ার জন্য এই হরমোনই দায়ী। এগ্রোজেন ছেলেদের স্বরযন্ত্রের আয়তন বাড়ায় এবং স্বরপর্দাকে অনেক পুরো আর দীর্ঘ করে। ফলে তাদের কম্পাঙ্ক অনেক কম হয়। ছেলেদের স্বাভাবিক কথাবার্তার সময়ে কম্পাঙ্ক সেকেন্ডে ১২০ বার যেখানে মেয়েদের কম্পাঙ্কের সংখ্যা ২৫০।

তাই মেয়েদের গলার স্বরের তীক্ষ্নতা বেশি। অ্যান্ড্রোজেনের প্রভাবেই ছেলেদের গলার স্বর গভীর এবং গম্ভীর শোনায়। মেয়েদের দেহে এই হরমোনের প্রভাব অনেক কম থাকায় তাদের স্বরযন্ত্রের আকার ও গঠন পাল্টায় না। আর কণ্ঠস্বরের কম্পাঙ্ক ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয় বলে তাদের গলা মিষ্টি শোনায়
সুদর্শন সুপুরুষ ছেলেটিকে দেখে প্রশংসাসূচক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে যেকোনো মেয়ে। কাজেই ছেলেটি নিজের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে গিয়ে প্রায়ই হোঁচট খেতে হয় তাকে। এর কারণ অনুসন্ধান করে গবেষকরা বের করেছেন যে, এর মূলে রয়েছে ছেলেদের বড় মাপের ছয়টি ভুল। যার খেসারত দিতে হয় সম্পর্কটি অঙ্কুরে বিনষ্ট করে। মূলত ছেলেদের এসব ভুলের কারণে যেকোনো মেয়ে তার থেকে এক শ হাত দূরে ছিটকে যায়।

১. সহজে বেজায় খুশি:

সম্পর্কের শুরুতে বেশি খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠা ছেলেদের একটি বড় ভুল। হাস্যকর না হলেও মেয়েটির কৌতুকে অযথা হেসে কুটিকুটি হওয়া বা সে যা বলে তা করতে সদাপ্রস্তুত থাকা- এমন ছেলেদের নিয়ে মেয়েরা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। ইতিবাচক মন্তব্য মেয়েরা পছন্দ করলেও তাদের খুশি করার মাত্রাতিরিক্ত প্রচেষ্টায় রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তারা।

২. খুব শিগগিরই বেশি অধিকার খাটানো:

আপনার সম্পর্ক অল্প কিছু দিনের। প্রেমিকা তার বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গেছে এবং আসতে একটু দেরিই হচ্ছে। ব্যস, আপনি পাগল হয়ে গেলেন। বারবার ফোন, ম্যাসেজ আর ফেসবুকে খুঁজতে খুঁজতে প্রেয়সীকে অস্থির করে তুললেন। এই ধরনের আচরণে মেয়েটি বিরক্তবোধ করবে।

৩. আপনি জানেন বিষয়টি কেমন:

ধরুন, আপনার প্রেমিকা তার অন্য বন্ধু বা ছেলে কলিগদের সাথে দু’ঘণ্টা ধরে আড্ডা দিচ্ছে। এতো সময় পেরিয়ে গেলেও আপনি তার কোনো খোঁজ করলেন না। বরং হিংসাভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাসায় বসে ভিডিওগেম খেলা শুরু করলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে আপনার প্রেমিকা এ বিষয়টিকে মোটেও ভাল চোখে দেখবে না। হিংসার পথে না গিয়ে তাকে বোঝান যে, সে তার খুশিমতো চলতে ফিরতে স্বাধীন। আর যদি তা করতে পারেন, দেখবে উল্টো মেয়েটিই আপনার সাথে সময় কাটাতে চাইছে।

৪. যেকোনো খরচে মানিব্যাগটি বের করে ফেলেন:

রেস্টুরেন্টে একসাথে খেতে গেলেই আপনি দামি খাবার ছাড়া অর্ডার দেন না। খরচের মুহূর্তে নিজের পকেট থেকে মানিব্যাগটা সব সময়ই বের করেন। এ ধরনের স্বভাব বেশ অস্বস্তিকর মেয়েদের জন্য। বরং অন্য কোনো সাধারণ খাবার খেতে যান তাকে সাথে করে। আবার সে বিল দিতে চাইলে তাকে দিতে দিন। এতে মেয়েটির ভাল লাগবে।অন্যদিকে, প্রতিবার বিলের ঝক্কি প্রেমিকার ঘাড়ে চাপানোও ভালো নয়। এতে আপনার সাথে মেয়েটি কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে না।

৫. অতীত প্রেম নিয়ে টানাটানি:

আপনার জীবনে সাবেক প্রেম থাকতে পারে। এ ঘটনা জানতেও পারে নতুন প্রেমিকা। এ জন্য তার কাছে প্রায়ই আগের প্রেমিকার দোষ তুলে ধরা বা তার সঙ্গে অশান্তির জীবনের বয়ান দেওয়া বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আপনাকে অবধারিতভাবেই সে জঞ্জাল বলে মনে করবে। তা ছাড়া এ ধরনের গল্পে নতুনজন নিজেকে আপনার অনেক দূরের একজন বলে ভাবতে শুরু করবে।

৬. শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে পীড়াপীড়ি করা:

মেয়েরা সাধারণত ভালবেসে দীর্ঘ সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চায়। প্রায়ই দেখা যায়, এ কারণে ছেলেরা প্রেমিকার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতে পীড়াপীড়ি করে। আসলে এমন করার প্রয়োজন নেই। সে নিজেই আপনাকে বুঝিয়ে দিবে যে কখন সে প্রস্তুত। আর ধারণার অনেক আগেই হয়তো মেয়েটি আপনার সাথে এমন সম্পর্কে জড়াতে চাইবে। কাজেই তাকে সময় দিন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.